হতাশ রোনাল্ডো। ছবি রয়টার্স
স্পেনের বিরুদ্ধে নেশন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চে চুপচাপ বসে না থেকে নিজেই ‘কোচ’ হয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথমার্ধে সতীর্থদের নির্দেশ দিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে খেললেন। তা সত্ত্বেও স্পেনের বিরুদ্ধে জিততে পারল না পর্তুগাল। উল্টে শেষ দিকের গোলে হার বাঁচাল তারা।
তবে ম্যাচের নজর কেড়ে নিয়েছে রোনাল্ডোর ‘কোচিং’। ছ’বছর আগে ইউরো কাপের ফাইনালের দৃশ্য মনে পড়িয়েছেন রোনাল্ডো। সে বার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে চোট পেয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছেড়েছিলেন। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে সতীর্থদের তাতাতে থাকেন। ফাইনাল জেতে পর্তুগাল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়েও তাঁকে এই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। ফের দেশের হয়ে অন্য ভূমিকা পালন করলেন রোনাল্ডো। কিন্তু রোনাল্ডোকে প্রথমার্ধে বসিয়ে রাখা হল কেন? কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস বলেছেন, “ভাবছিলাম এটা নিয়ে প্রশ্ন আসবেই। রোনাল্ডোকে শুরুতে না খেলানো আমাদের কৌশল ছিল। ক্রিশ্চিয়ানোর মান বা ক্লান্তি জাতীয় কোনও ব্যাপার নেই।”
কোচ রোনাল্ডো। ছবি টুইটার
পর্তুগাল প্রথমার্ধে আলভারো মোরাতার গোলে পিছিয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান রিকার্ডো হোর্তা। উল্লেখ্য, হোর্তা দেশের হয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেললেন। প্রথম ম্যাচ খেলেছেন আট বছর আগে। সম্প্রতি পর্তুগিজ লিগে ব্রাগার হয়ে ভাল খেলার কারণে দলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। অনামী এই খেলোয়াড়ই পর্তুগালের মান বাঁচালেন।
তবে এই ম্যাচে স্পেনের গাভির কথা উল্লেখ্য। ১৭ বছরের এই ফুটবলার যে আগামী দিনে দলের তারকা হতে চলেছেন, সেটা তাঁর খেলা দেখেই বোঝা গিয়েছে। স্পেনের হয়ে জাভি, আন্দ্রে ইনিয়েস্তারা যে দায়িত্ব পালন করতেন, এখন কার্যত সেই দায়িত্বই পালন করতে দেখা যাচ্ছে গাভিকে। বৃহস্পতিবার স্পেনের গোলের পিছনে অবদান তাঁরই। জোয়াও ক্যান্সেলোর মিস পাস ধরে তিনি বেশ কিছুটা দৌড়ে পাস দেন পাবলো সারাবিয়াকে। সেখান থেকেই গোল হয়। কোচ লুই এনরিকেও মুগ্ধ। বলেছেন, “স্প্যানিশ ফুটবলে ও এখনও পরিচিত নয়। শুধু দৌড়য় বা বলের জন্য লড়াই-ই করেন, রক্ষণ এবং আক্রমণও করতে পারে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।