গোলের পর ক্লেটনকে অভিনন্দন হিজাজির। ছবি: ইস্টবেঙ্গলের ফেসবুক থেকে।
দু’বার এগিয়ে গিয়েও মরসুমের চতুর্থ ডার্বি জেতা হল না ইস্টবেঙ্গলের। কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নেরা প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন। তবু জয় এল না। দু দু’বার এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলেও আইএসএলের বড় ম্যাচে নজর কাড়লেন ইস্টবেঙ্গলের তিন ফুটবলার।
ক্লেটন সিলভা: ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেন সতীর্থদের। শনিবারের বড় ম্যাচেও একই ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন। গোলের সুযোগ তৈরি করলেন। সতীর্থদের পথ দেখালেন। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ভরসা ক্লেটন গোটা ম্যাচে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করলেন মোহনবাগান রক্ষণকে। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে বোকা বানিয়ে। নিশ্চিত ভাবে শনিবার ইস্টবেঙ্গলের সেরা পারফর্মার তিনি।
মহেশ সিংহ: মণিপুরের উইঙ্গারও নজর কাড়লেন যুবভারতীতে। গোটা মাঠ জুড়ে খেললেন। আক্রমণ তৈরি করলেন। নিচে নেমে দলের রক্ষণও সামলালেন। মাঠে মহেশ থাকা মানে রক্ষণের সঙ্গে আক্রমণের বোঝাপড়া মসৃণ থাকা। এ দিনও অন্যথা হয়নি। একাধিক বার বল নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে মোহনবাগানের বক্সে ঢুকে পড়েছেন মহেশ। তাঁকে আটকাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। কখনও কখনও শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করেও আটকাতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মহেশকে। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি চোট পেয়ে উঠে যাওয়ার পর মহেশের গুরুত্ব আরও বেশি করে বোঝা গিয়েছে।
অজয় ছেত্রী: ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের অন্যতম সেরা ফুটবলার। চোরা গতি রয়েছে তাঁর। সেই গতি কাজে লাগিয়ে শনিবার ম্যাচের শুরুতেই মোহনবাগানকে চাপে ফেলে দিলেন তিনি। ফুটবলে গোলই আসল। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল এসেছে অজয়ের পা থেকেই। যা গোটা দলের উপর থেকে বড় ম্যাচের চাপ কাটিয়ে দেয় শুরুতেই। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মোহনবাগান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন অজয়। ব্রেন্ডন হ্যামিল শেষ মুহূর্তে হেড করে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও তার আগেই পা ঠেকিয়ে গোল করে দেন অজয়।