মোহনবাগানের নায়কদের মূর্তি বসতে চলেছে ক্লাবের প্রাঙ্গনে। —ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে ১৯১১ সালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতে ইতিহাস গড়া মোহনবাগানের নায়কদের মূর্তি বসতে চলেছে ক্লাবের প্রাঙ্গনে। শিলিগুড়ির পরে এ বার দুর্গাপুরেও মোহনবাগানের নামাঙ্কিত রাস্তা হতে চলেছে। পাশাপাশি কলকাতা লিগের পরিত্যক্ত ডার্বিকে কেন্দ্র করে আইএফএ-র সঙ্গে তরজা অব্যাহত সবুজ-মেরুন কর্তাদের।
শুক্রবার বিকেলে বার্ষিক সাধারণ সভার পরে মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ডজয়ী দলের একটি ছবি ছাড়া আর কিছুই ছিল না ক্লাবে। কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমর একাদশের ফুটবলারদের ছ’ফিটের আলাদা আলাদা মূর্তি স্থাপন করা হবে লনে। ব্যবহার করা হবে ১৯১১ সালের সেই ঐতিহাসিক বেঞ্চও। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে ১৬ ডিসেম্বর বিকেল চারটেয় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। তবে উদ্বোধন কে করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে অমর একাদশের পরিবারের সদস্যদেরও।’’
তিনি যোগ করলেন, ‘‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রবিবার, দুর্গাপুরের অন্যতম বড় রাস্তার নামকরণ হতে চলেছে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ। এর আগে শিলিগুড়িতে মোহনবাগানের নামে রাস্তা হয়েছে। এ বার দুর্গাপুরেও তার উদ্বোধন হবে।’’ বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনা হয়েছে হকি দল গড়া নিয়েও। এ ছাড়াও গোল পোস্টের পিছনে তিনটি ক্রিকেটের পিচ তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি কংক্রিটের।
আইএফএ-র সঙ্গে সংঘাতের জেরে অন্য রাজ্য থেকে খেলার যে হুমকি দিয়েছিলেন মোহনবাগান সচিব, তা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে। তিনি বললেন, ‘‘প্রয়াত প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্র বলেছিলেন, প্রয়োজনে বাংলার বাইরে থেকে খেলবে মোহনবাগান। তবে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া বিরাট বড় ব্যাপার। এই বিষয়ে কোম্পানির সঙ্গেও কথা হয়েছে। কর্মসমিতির সকলেই ডার্বি না খেলার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। আইএফএ-র সঙ্গে চরম লড়াইয়ে যাওয়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন।’’