East Bengal-Mohun Bagan

বয়স ভাঁড়ানো নিয়ে তরজা দুই প্রধানের

শনিবার ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-৪ গোলে বিপর্যস্ত হওয়ার পরেই অনূর্ধ্ব-১৭ মোহনবাগান দলের কোচ বাস্তব রায় জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফুটবলারের বয়স নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

যুব আই লিগের ডার্বি শেষ হয়ে যাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও অব্যাহত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ! লাল-হলুদ শিবিরের বিরুদ্ধে একাধিক ফুটবলারের বয়স ভাঁড়িয়ে যুব লিগে খেলানোর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল মোহনবাগান।

Advertisement

শনিবার ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-৪ গোলে বিপর্যস্ত হওয়ার পরেই অনূর্ধ্ব-১৭ মোহনবাগান দলের কোচ বাস্তব রায় জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফুটবলারের বয়স নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ রয়েছে। সবুজ-শিবিরের দাবি, ছ’জন ১৭ বছরের বেশি বয়সের ফুটবলার খেলেছেন লাল-হলুদ জার্সি পরে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলারের বয়স সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে মোহনবাগানের তরফে।

এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, লাল-হলুদের এক ফুটবলারের আধার কার্ডও নাকি ভুয়ো। সংশ্লিষ্ট সেই ফুটবলার বছর পাঁচেক আগে অনূর্ধ্ব-১৩ মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন। তাঁর আসল বয়স নাকি কুড়ি। এই কারণেই অভিযুক্ত ফুটবলারের নকল আধার কার্ড বানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের বাকি চার ফুটবলারেরও যাবতীয় নথিও সংগ্রহ করে ফেডারেশনে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মোহনবাগানের কর্তারা।

Advertisement

মোহনবাগানের অভিযোগকে যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। বলে দিলেন, ‘‘দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না।’’

ছোটদের ডার্বি নিয়ে বিতর্কের আবহেই সাহাল আব্দুল সামাদকে নিয়ে উদ্বেগ অনেকটাই দূর হয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির থেকে। মুম্বই সিটি এফসি-দ্বৈরথের আগে মাঝমাঠ নিয়ে উদ্বেগ অনেকটা দূর হতে চলেছে মোহনবাগান শিবিরে। সব ঠিক থাকলে দলে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল সাহাল আব্দুল সামাদের।

যুবভারতীতে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএলের ম্যাচে আহমেদ জাহুর ট্যাকলে চোট পান সাহাল। পরিস্থিতি সামলাতে গুয়াহাটিতে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার তাঁর জায়গায় দীপক টাংরিকে খেলাতে বাধ্য হন জুয়ান ফেরান্দোর সহকারী ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ৩-১ গোলে দুরন্ত জয়ের পরে ক্লিফোর্ড বলেছিলেন, ‘‘আশিক কুরুনিয়ন দীর্ঘ দিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছে। সাহাল চোট পাওয়ার পরে এমন অবস্থা হয়েছিল যে, দলে কোনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারই ছিল না।’’

তবে ওড়িশা ম্যাচে চোট পাওয়া মাঝমাঠের আর এক ফুটবলার গ্লেন মার্টিন্সের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement