গোল করার পরে উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের সউল ক্রেসপোর। ছবি: এক্স।
এখনও প্লে-অফে ওঠার আশা বেঁচে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। কেরলে গিয়ে কেরল ব্লাস্টার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করেন সউল ক্রেসপো ও মহেশ নাওরেম সিংহ। কেরলের একটি গোল ফেদক সারনিচের। আর একটি গোল ইস্টবেঙ্গলের হিজাজি মাহেরের আত্মঘাতী। ম্যাচ চলাকালীন কেরলের দুই ফুটবলার জিকসন সিংহ ও নাওচা সিংহ লাল কার্ড দেখেন। ফলে বেশ কিছু ক্ষণ ন’জন ফুটবলারে খেলতে হয় কেরলকে। তাতে কিছুটা সুবিধা হয় লাল-হলুদের। এই জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
খেলার শুরু থেকে দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। ক্লেটন সিলভার হেড বার উঁচিয়ে চলে যায়। খেলার গতির বিপরীতে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় কেরল। লাল-হলুদ রক্ষণ ও গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের ভুলে গোল করেন সারনিচ।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা চলছিল। তবে বিরতির ঠিক আগেই খেলার ছবি বদলে যায়। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেরলের জিকসন। পরের মিনিটেই বক্সে বিষ্ণুকে ফাউল করেন কেরলের গোলরক্ষক করণজিৎ সিংহ। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করে সমতা ফেরান ক্রেসপো।
১০ জন হয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই করছিল কেরল। এগিয়েও যেতে পারত তারা। ৬০ মিনিটের মাথায় দাইসুকের শট বারে লেগে ফেরে। অবশ্য ১১ মিনিট পরে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে বল ছিনিয়ে বক্সে বল বাড়ান তরুণ অমন সিকে। ঠান্ডা মাথায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রেসপো।
তিন মিনিট পরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কেরালার আর এক ফুটবলার নাওচা। ন’জন হয়ে যাওয়ার পরে আর কিছু করার ছিল না কেরালার। ৮১ মিনিটে ভিক্টর ভাসকেসের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। পরের মিনিটেই অবশ্য গোল করেন নাওরেম। তা-ও হাল ছাড়েনি কেরালা। চাপে পড়ে আত্মঘাতী গোল করেন হিজাজি। কিছুটা চাপে পড়ে যায় লাল-হলুদ। ৮৭ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করে খেলার ফল নিশ্চিত করে দেন নাওরেম।
এই জয়ের ফলে এক লাফে ১১ থেকে সাত নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। তাদের সামনে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি ইস্টবেঙ্গলের। তার মধ্যে একটি ম্যাচ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, এখনও প্রথম ছ’দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগ রয়েছে লাল-হলুদের।