সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই।
কুয়েত ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে তিনি তখন ক্লান্ত। জিততে না পারার ব্যথা তো রয়েছেই। অবসর নিয়েও কিছুটা আবেগপ্রবণ। তবু নৈশভোজের পর নিজের ঘরে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের পর মিক্সড জ়োনে তাঁর মুখ থেকে প্রত্যেকেই কিছু শোনার আশায় থাকলেও তিনি ফাঁকি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে তিন নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু হোটেলে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সুনীল।
অধিনায়ক থেকে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সুনীল বলেছেন, “অবসর ব্যাপারটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। পরশু দিন দল কাতারের উদ্দেশে রওনা হবে। শুক্রবার রিকভারি সেশন রয়েছে। এখনও দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছি। সেখানেই একটা মেসেজে জানতে পারলাম শুক্রবারের রিকভারি সেশনের কথা। যদি কোচ অনুমতি দেন তা হলে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করব।”
সুনীলের সংযোজন, “আট তারিখ দল কাতারে যাবে। সেই যাত্রাটা খুব মিস্ করব। নিজের যা ছিল সবটা দিয়ে দিয়েছি। খুব ভাল লাগত যদি কুয়েত ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতাম। তবে এক পয়েন্ট পেয়েও এখনও লড়াইয়ে রয়েছি। আশা করি কাতারে ছেলেরা ভাল খেলবে।”
ম্যাচের পরেই তাঁকে কাঁদতে দেখেছিলেন সমর্থকেরা। সাধারণত আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু সুনীল বললেন, “কাঁদতে চাইছিলাম না। তবুও কান্না পেয়ে গেল। ম্যাচের সময় কিছু মনে হয়নি। কিন্তু ম্যাচের পর আচমকাই কান্না চলে আসে। জীবনে হয়তো আরও অনেক কিছু পাব বা পাব না। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে নামব না, এটা ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুনীলকে বাংলার ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সে কথা জানান ম্যাচের পরে। সে প্রসঙ্গে সুনীল বললেন, “উনি খুব ভাল। গোটা কেরিয়ারের জন্য আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। এখনও সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলার সময় আসেনি।”