সুনীল ছেত্রী ও সুব্রত ভট্টাচার্য। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে ফোন করা হয়েছিল প্রতিক্রিয়ার জন্য। জানা গেল, সুব্রত ভট্টাচার্য জানতেনই না জামাইয়ের অবসর নেওয়ার কথা। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ থেকেই প্রথম শুনলেন। তবে অবাক নন শ্বশুরমশাই। বললেন, সঠিক সিদ্ধান্ত।
প্রথমে সুব্রত জানতে চাইলেন, পুরো ফুটবলটাই ছেড়ে দিল? যখন শুনলেন, শুধু দেশের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুনীল, তখন বললেন, ‘‘ঠিকই করেছে। একেবারে সঠিক সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়েছে। ভারত তো আর তেমন কিছু করছে না। ওখান থেকে ওর আর কিছু পাওয়ার নেই। দেওয়ারও আর কিছু নেই। বরং নিজের উপর চাপ কমিয়ে ক্লাবের হয়ে খেলায় মন দিতে পারবে এ বার।’’
কিন্তু সুনীলের পর ভারতীয় ফুটবলে আর বিগ্রহ কোথায়? ভারতীয় ফুটবলে কি দৈন্য আসবে না? ‘একেবারেই না’ জানিয়ে সুব্রতর যুক্তি, ‘‘পেলে, মারাদোনাকেও তো অবসর নিতে হয়েছে। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীকেও অবসর নিতে হয়েছে। একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনীল। ঠিক সময়ে সরে যাচ্ছে। নতুনরা উঠে আসুক।’’
পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলের এখনকার অবস্থা দেখে দুঃখপ্রকাশও করলেন সুব্রত। বললেন, ‘‘সুনীলের অবসরে ভারতীয় ফুটবলে আর কী দৈন্য হবে! আর তো পিছোনোর জায়গা নেই ভারতীয় ফুটবলের।’’
বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োবার্তা পোস্ট করে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান সুনীল। তিনি বলেন, “অবসরের কথা সবার আগে নিজের পরিবারকে বলেছিলাম। মা, বাবা এবং স্ত্রীকে। বাবা স্বাভাবিক আচরণ করেছিল। খুশি হয়ে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল। কিন্তু মা এবং স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে কাঁদতে শুরু করেছিল। আমি ওদের বলেছিলাম, তোমরা তো প্রায়ই আমাকে বলো কত বেশি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। আমাকে খেলতে দেখলে তোমাদের নাকি মানসিক চাপ কতটা বেড়ে যায়। এখন তো তোমাদের ভাল কথাই শোনাচ্ছি। পরের ম্যাচের পর আর দেশের হয়ে কোনও দিন খেলব না।”