সার্বিয়া এবং ইংল্যান্ডের সমর্থকদের সংঘর্ষ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ইউরো কাপ শুরু হতে না হতেই অশান্তি শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সমর্থকেরা। রবিবার ইংল্যান্ড এবং সার্বিয়া ম্যাচের দিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকদের একাংশ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ উয়েফা সার্বিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
জার্মানির গেলসেনকারসেনে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। সেখানকার একটি রেস্তরাঁয় ভিড় করেছিলেন সার্বিয়ার সমর্থকেরা। সেই রেস্তরাঁতেই খেলা দেখতে যান একদল ইংরেজ সমর্থক। ইংরেজরা সংখ্যায় ছিলেন বেশি। সার্বরা তাঁদের রেস্তরাঁয় ঢুকতে বাধা দেন। প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। গেলসেনকারসেন পুলিশ জানিয়েছে, দু’দলের প্রায় ১৫০ জন সমর্থক সংঘর্ষে লিপ্ত হন। অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে ইংল্যান্ডের এক জন এবং সার্বিয়ার সাত জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গেলসেনকারসেন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সার্বিয়ার সমর্থকেরাই ইংরেজদের উপর চড়াও হয়েছিলেন না কি আগে ইংরেজরা কোনও প্ররোচনা দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।’’ ১৫০ জন মতো সংঘর্ষে জড়ালেও কেন মাত্র আট জনকে গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কড়া অবস্থান নিয়েছে উয়েফাও। তারাও ঘটনার পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। সমর্থকদের অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তি পেতে হতে পারে সার্বিয়াকে। পরের ম্যাচগুলিতে সার্বিয়ার সমর্থকেরা অসংযত আচরণ করলেও শাস্তি পেতে হতে পারে। বৃহস্পতিবার মিউনিখে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে সার্বিয়া। এই ম্যাচে সার্ব ফুটবলপ্রেমীদের দিকে সতর্ক নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। উয়েফা জানিয়েছে, ফুটবলকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। শুধু অশান্তিই নয়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে সার্বিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পতাকা প্রদর্শন, বৈষম্যমূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
গত কয়েক বছরে সার্বিয়াকে বেশ কয়েক বার উয়েফার শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। কখনও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে। আবার কখনও নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি টিকিট বিক্রি করতে পারেনি তারা। এ বারও তেমন শাস্তি দিতে পারে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থা।