স্বাক্ষর: নতুন জার্সি উন্মোচন শ্যাম থাপার। ছবি এসসি ইস্টবেঙ্গল।
নতুন মরসুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে পুরনো ঐতিহ্যের ছোঁয়া! ১৯২১ সালের স্মৃতি ফিরল লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে।
একশো বছর আগের আদলে তৈরি লাল-হলুদ জার্সিই এ বার আইএসএলে দেখা যাবে ড্যানিয়েল চিমাদের শরীরে। শনিবার এই নতুন জার্সি উন্মোচন করলেন ভারতীয় ফুটবলের দুই কিংবদন্তি শ্যাম থাপা ও মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য।
তিন ধরনের (হোম, অ্যাওয়ে ও নিরপেক্ষ) জার্সি উন্মোচন করা হয় শনিবার। মূল জার্সির (হোম) এক দিকে লাল। অন্য দিকে হলুদ। অ্যাওয়ে ম্যাচের জার্সি মূলত সাদা হলেও চিরাচরিত লাল ও হলুদ রঙের ছোঁয়া রয়েছে। নিরপেক্ষ জার্সির রং নীল। তাতেও লাল ও হলুদ রং রয়েছে। শুধু তাই নয়। ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের ইলিশ মাছের প্রতি ভালবাসাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এখানে। ক্লাব কর্তারা জানালেন, লাল-হলুদ সমর্থকদের আবেগকে সম্মান জানাতেই অতীত ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জার্সি উদ্বোধনের পরে উচ্ছ্বসিত শ্যাম থাপা বললেন, ‘‘লাল-হলুদ জার্সি ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য।আমি মুগ্ধ নতুন জার্সি দেখে। ক্লাব কর্তারা ঐতিহ্যকে যে ভাবে সম্মান জানিয়েছেন, তা দেখে আমি অভিভূত।এই জার্সি পরে আমি অসংখ্য ট্রফি জিতেছি। আশা করছি, সমর্থকেরাও দারুণ খুশি হবেন।’’ মনোরঞ্জনের কথায়, ‘‘এই মরসুমের জার্সি দেখে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আমরাও এ রকম লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলতাম। তখন অবশ্য অন্য রকম কাপড় দিয়ে তৈরি করা হত জার্সি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সব সময় স্বপ্ন দেখতাম, লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলার। মাঠে নেমে আমার প্রধান লক্ষ্য থাকত এই জার্সির মর্যাদা রক্ষার।’’ ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গলের জার্সির নকশা অবশ্য অন্যরকম ছিল। লাল জার্সির বুকের কাছে হলুদ রং ছিল। কারণ, অন্য একটি ক্লাবের জার্সির ছিল এক দিকে লাল, অন্য দিকে হলুদ। পরের বছরই বদলে ফেলা হয় নকশা। লাল ও হলুদ রং দু’দিকে রেখেই নতুন জার্সি তৈরি করা হয়েছিল।