হাবাসের সঙ্গে সঞ্জয়। ফাইল ছবি
দেশ-বিদেশজুড়ে অগণিত ভক্ত, সমর্থককে চমকে দিয়ে শনিবার দুপুরেই এটিকে মোহনবাগানের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর হঠাৎ স্প্যানিশ কোচের এরকম সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। অবাক তিনিও, যিনি গত বছর পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানের ডাগআউটে সহকারী হিসেবে হাবাসের পাশে বসেছেন।
রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে সঞ্জয় সেন বললেন, “আমি ওর পদত্যাগের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানি না। উনি ছেড়ে দিয়েছেন, নাকি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটাও বলতে পারব না। গোয়ায় থাকলে হয়তো বলতে পারতাম। তবে এই ঘটনা যে আমাকে অবাক করেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। যে পরিস্থিতিতে মাত্র একটা ম্যাচে জিতলে লিগ তালিকায় প্রথম চারে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে এ ভাবে দলকে বিদায় জানালেন কেন?”
ফুটবলারদের সঙ্গে যে হাবাসের কোনও বিবাদ রয়েছে, এমনটা কিছুতেই মানতে রাজি নন সঞ্জয়। তাঁর সাফ কথা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক খুবই ভাল। সে কারণেই দল হারলে বা ড্র করলে তিনি খেলোয়াড়দের ঘাড়ে দোষ চাপান না। নিজেকেই দায়ী করেন। সঞ্জয়ের কথায়, “মাঠের মধ্যে ওকে দেখলে হয়তো খুব রাগী মনে হবে। কিন্তু মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ঢুকলে উনি অত্যন্ত শান্ত। ফুটবলারদের সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলেন। কোনও দিন ওঁকে রেগে যেতে দেখিনি।”
এটিকে মোহনবাগানের এখনকার ছন্দ নিয়ে মোটেও ভাবিত নন সঞ্জয়। তাঁর মতে, সবুজ-মেরুনের ঘুরে দাঁড়ানো সময়ের অপেক্ষা। সমর্থকদের তাই ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সঞ্জয়ের সাফ কথা, “বিদেশি লিগগুলো এক বার দেখুন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কত বছর হয়ে গেল ইপিএল জেতেনি। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিও মাঝে মাঝে ছন্দ হারায়। আর্সেনাল পাঁচ গোল খায়। এগুলো সাময়িক। ফুটবল খেলায় এগুলো হতেই পারে। এতে এত ভেঙে পড়লে চলবে না। সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে হবে। গত মরসুমে ১৫টি গোল খেয়েছিল বলে এই মরসুমেও যে ১৫টি গোল খাবে তার তো কোনও মানে নেই। বেশিও খেতে পারে। কমও খেতে পারে। আসল কথা হল প্রক্রিয়া। সেটা ঠিকঠাক থাকলেই ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে না।”
হাবাস চলে যাওয়ায় সমর্থকরা মিস করবেন স্প্যানিশ কোচের সেই উল্লাস। সাদা জামা-কালো প্যান্ট পরেই বেশির ভাগ ম্যাচে দেখা যেত তাঁকে। দল জিতলে সাইডলাইনের বাইরে সেই আস্ফালন বা হারলে হতাশা প্রকাশ আর দেখা যাবে না। হাবাসের পোশাকের মধ্যেও বিশেষত্ব রয়েছে, জানালেন সঞ্জয়। তিনি সাদা, কালো এবং নীল রং পছন্দ করেন। তাই বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁকে ওই পোশাক পরে দেখা যেত। তবে সেটা কুসংস্কার কিনা, সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি সঞ্জয়।