কাতার বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিত হারের পর লিয়োনেল মেসি। ছবি: টুইটার।
সৌদি আরবের কোচ হলেন রবের্তো মানচিনি। তাঁর সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে সৌদি আরবের ফুটবল সংস্থা। গত মাসে হঠাৎ ইটালির কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন মানচিনি।
গত কাতার বিশ্বকাপে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সৌদি আরব। এশীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা শক্তি তারা। ২০২০ সালে ইটালিকে ইউরো চ্যাম্পিয়ন করা মানচিনিকে নতুন কোচ হিসাবে বেছে নিল তারা। যদিও মানচিনি কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে ইটালিকে তুলতে পারেননি। চুক্তি অনুযায়ী বছরে ২৫ মিলিয়ন ডলার বা ২০৭ কোটি টাকার বেশি পারিশ্রমিক পাবেন তিনি।
সৌদি আরবের দায়িত্ব পেয়ে খুশি মানচিনি। তিনি বলেছেন, ‘‘সৌদি আরবের জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। বিশ্বাস করি এটা আমার কাছে বড় একটা সুযোগ। নতুন একটা দেশের ফুটবল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হবে। এশিয়া এখন ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই সময় কাজ করতে পারার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে।’’ সৌদি প্রো লিগ নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন জাতীয় দলের নতুন কোচ। মানচিনি বলেছেন, ‘‘সৌদির লিগে এখন বিশ্বের প্রথম সারির ফুটবলারেরা খেলছে। এর সুফল পাবে জাতীয় দলও।’’
গত জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার পর করিম বেঞ্জেমা, নেমারের মতো তারকারা যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবে। মহম্মদ সালাহও লিভারপুল ছেড়ে সৌদির ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপের পর নতুন জোয়ার এসেছে সৌদির ফুটবলে। তাকে কাজে লাগিয়েই সৌদি আরবের জাতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মানচিনি।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে অনূর্ধ্ব ২১ এবং অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দলের দায়িত্ব মানচিনিকে দিয়েছিলেন ইটালির ফুটবল কর্তারা। কিন্তু জুলাই মাসে হঠাৎ ইস্তফা দেন তিনি। তখনই শোনা গিয়েছিল তাঁর কাছে সৌদি আরবের বিশাল টাকার প্রস্তাব রয়েছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন মানচিনি। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হল।