মহমেডান- বেঙ্গালুরু ম্যাচে বল দখলের লড়াই। ছবি: এক্স (টুইটার)।
বেঙ্গালুরু এফসি - ২ (সুনীল)
মহমেডান স্পোর্টিং - ১ (মানজ়োকি)
আইএসএলে আবার হার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসির কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে মোহনবাগানের সুবিধা করে দিতে পারল না দিল সাদা-কালো শিবির। বুধবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মহমেডান ১-২ গোলে হেরে গেল সুনীলদের বিরুদ্ধে। মহমেডানের পক্ষে গোলদাতা লোবি মানজ়োকি। বেঙ্গালুরুর পক্ষে দু’টি গোলই করলেন সুনীল। অথচ ম্যাচের ৮১ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল মহমেডানই।
জলে গেল মহমেডানের লড়াই। ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে (৯৮ মিনিট) গোল খেয়ে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে হেরে গেল সাদা-কালো শিবির। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুর কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারল না সাদা-কালো ব্রিগেড। বরং ম্যাচ জিতে বেঙ্গালুরুই আবার পয়েন্ট তালিকায় শীর্যে উঠে এল মোহনবাগানকে টপকে। ৯ ম্যাচে বেঙ্গালুরু পয়েন্ট হল ২০। ৮ ম্যাচ খেলে মোহনবাগানের সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। সবুজ-মেরুন শিবির রইল দ্বিতীয় স্থানে।
কয়েক দিনের বিরতি কাজে লাগিয়ে দলের দুর্বলতা অনেকটাই মেরামত করেছেন কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। আগের ম্যাচগুলির তুলনায় বুধবার মহমেডান রক্ষণকে অনেক জমাট দেখিয়েছে। তবু সেই রক্ষণের ভুলেই জয় হাতছাড়া হল। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সুনীল। ৯৮ মিনিটে হেডে নিখুঁত প্লেসিংয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে জয়সূচক গোলও করেন তিনি। এ দিন আইএসএলের সব দলের বিরুদ্ধে গোল করার নজির গড়লেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
বুধবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলে মহমেডান। তার সুফলও পায় তারা। ম্যাচের ৮ মিনিটে মানজ়োকি এগিয়ে দেন মহমেডনকে। প্রথমার্ধে মহমেডান ফুটবলারেরা বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছেন। সমানে সমানে লড়াই করেছেন। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের পায়ে বল পড়লে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবু শেষ রক্ষা হল না। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে লড়াই ধরে রাখতে পারল না কলকাতার ক্লাবটি। বরং গোল শোধে মরিয়া বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা তুলনায় ভাল ফুটবল খেললেন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঝ মাঠের দখলও নিয়ে নেন তাঁরা। তবে গোল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হল সুনীলের নামা পর্যন্ত।
৫২ মিনিটে সুনীলকে নামান বেঙ্গালুরু কোচ। তিনি নামার পর বেঙ্গালুরুর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। মহমেডানের বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলারেরা। চাপের মুখে ভুল করতে শুরু করে সাদা-কালো রক্ষণ। মহমেডান গোলরক্ষক ভাষ্কর রায় অবশ্য একাধিক বার দলের পতন রোধ করেন। তাঁর দক্ষতায় বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত দলের পতন রুখতে পারলেন না তিনি। শেষ দিকে মহমেডান সমর্থকেরা ধৈর্য্য হারানোয় গ্যালারি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বেঙ্গালুরু কাছে হারের ফলে ৮ ম্যাচে ৫ পয়েন্টেই থাকল মহমেডান। পয়েন্ট তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেড।