আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলতে নেমেছিল বোকা জুনিয়র্স এবং রেসিং ক্লাব। সেখানেই ঘটেছে এই ঘটনা। প্রতীকী ছবি
কিছু দিন পরেই তাঁকে কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা যাবে। তার আগেই শিরোনামে চলে এলেন আর্জেন্টিনার রেফারি ফাকুন্ডো তেলো। সে দেশের ঘরোয়া লিগের একটি ম্যাচে দু’দল মিলিয়ে মোট ১০ জনকে লাল কার্ড দেখালেন তিনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দু’দলের ফুটবলাররা। তখনই একের পর এক ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখাতে থাকেন। কাতার বিশ্বকাপে তিনি কোন কোন ম্যাচ পরিচালনা করবেন এখনও ঠিক হয়নি। তবে আর্জেন্টিনা বাদে বাকি দলগুলির কাছে এটা যথেষ্ট আতঙ্কেরই।
আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলতে নেমেছিল বোকা জুনিয়র্স এবং রেসিং ক্লাব। খেলার অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে রেসিংয়ের হয়ে গোল করেন কার্লোস আলকারাজ। কর্নার থেকে হেডে গোল করার পরেই দৌড়ে বোকা জুনিয়র্সের ডাগ আউটের সামনে গিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা বোকার ফুটবলাররা।
তাঁকে ঘিরে ধরে ধাক্কা মারতে থাকেন বোকার বাকি ফুটবলাররা। কেউ কেউ আলকারাজের কান টেনে ধরেন। এক জন বল ছুড়ে মারেন মুখে। রেফারি এসে সবার আগে আলকারাজকে লাল কার্ড দেখান। এর পর বোকার পাঁচ ফুটবলারকে একে একে লাল কার্ড দেখান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর আগেই বোকার সেবাস্তিয়ান ভিয়া এবং রেসিংয়ের জোহান কার্বোনেরো লাল কার্ড দেখেছিলেন। ফলে গোটা ম্যাচে সব মিলিয়ে ১০ জন লাল কার্ড দেখেন। এর মধ্যে বোকার সাত জন এবং রেসিংয়ের তিন জন।
তেলো এখনও পর্যন্ত রেফারি জীবনে ১১৮ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। মোট ৬১২টি হলুদ কার্ড এবং ৪৫টি লাল কার্ড দেখিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপেও তাঁকে এমন ‘ছন্দে’ দেখা যাবে কিনা, সেটা ভেবে আতঙ্কিত অনেকেই।