গোলের পর উচ্ছ্বাস রিয়ালের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।
নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হল ৩-৩ ব্যবধানে। অতিরিক্ত সময়ে হল আরও দু’গোল। শেষ পর্যন্ত আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে চলে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিয়েছে তারা। পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল তারা। রবিবার বার্সেলোনা বনাম ওসাসুনা ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে রিয়াল।
সৌদি আরবের রিয়াধে এই ম্যাচ হয়েছে। বুধবার রাতে আতলেতিকোই এগিয়ে গিয়েছিল। ৬ মিনিটের মাথায় আঁতোয়া গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে আতলেতিকোকে এগিয়ে দেন মারিয়ো এর্মোসো। কিন্তু রিয়াল ঘুরে দাঁড়ায়। ২০ মিনিটে আন্তোনিয়া রুডিগার এবং ২৯ মিনিটে ফারল্যান্ড মেন্ডির গোলে ২-১ এগিয়ে যায় তারা।
প্রথমার্ধেই সমতা ফেরান গ্রিজম্যান। বক্সের বাইরে থেকে রিয়াল ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। আতলেতিকোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল (১৭৫) করার নজির গড়লেন তিনি। টপকালেন লুই আরাগোনেসকে। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়ার পর অবশেষে খরা কাটালেন।
তার পরেও রিয়ালের হারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আতলেতিকোর একটি আক্রমণ বাঁচাতে গিয়ে রিয়ালের রুডিগারের গায়ে লেগে নিজের গোলেই বল ঢুকে যায়। গোলকিপার কেপা আরিজাবালাগার ভুলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। তার পরেই প্রত্যাবর্তন রিয়ালের। ৮৫ মিনিটে দারুণ গোল করেন দানি কার্ভাজাল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন রিয়ালের। ১১৬ মিনিটে কার্ভাজালের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে স্টেফান স্যাভিচ আত্মঘাতী গোল করেন। যদিও সেই গোলটি দেওয়া হয়েছে রিয়ালের জোসেলুর নামে। ম্যাচের শেষ মিনিটে অসাধারণ গোল ব্রাহিম দিয়াজ়ের। আতলেতিকোর কর্নারের সময় গোলকিপার উঠে এসেছিলেন। রিয়াল সেই বল ক্লিয়ার করার পর ব্রাহিম দৌড়ে গিয়ে বাকিদের টপকে প্রায় মাঝমাঠ থেকে শটে বল জালে জড়ান।
প্রত্যাবর্তন দেখা গেল লিগ কাপেও। লিভারপুল ২-১ হারাল ফুলহ্যামকে। ঘরের মাঠে অ্যানফিল্ডে ১৯ মিনিটে উইলিয়ানের গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। ভার্জিল ফান ডাইক ভুল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে এক সঙ্গে দু’টি পরিবর্তন করেন কোচ জুরগেন ক্লপ। নামান ডারউইন নুনেজ় এবং কোডি গাকপোকে। সেটাই ম্যাচের ফল বদলে দেয়। কার্টিস জোন্স এবং গাকপো গোল করেন।