যুগলবন্দি: যে ছবি দেখতে চেয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। হাসি মুখের নেমার-মেসি। ফরাসি লিগের ম্যাচে। ছবি রয়টার্স।
ফরাসি লিগ ওয়ান
পিএসজি ৫ • লরিয়ঁ ১
অবশেষে দেখা গেল বহু প্রতীক্ষিত ফুটবল জাদু। ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে দুরন্ত ছন্দে এমএনএম ত্রিফলা। তাঁদের দাপটে রবিবার লরিয়ঁকে ৫-১ হারাল পিএসজি। জোড়া গোল নেমার দা সিলভা জুনিয়র ও এমবাপের। গোল পেলেন লিয়োনেল মেসিও। এই জয়ের ফলে ৩০ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষে প্যারিস সাঁ জারমাঁ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের তাদের চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছনে।
জোড়া গোল করার পাশাপাশি এই ম্যাচে তিনটি গোল নেমার ও মেসিকে দিয়ে করিয়েছেন ফরাসি তারকা। ম্যাচের নায়কও বেছে নেওয়া হয় তাঁকে। এমবাপের বাড়ানো বল থেকেই ১২ ও ৯০ মিনিটে নেমারের গোল। ৭৩ মিনিটে মেসির গোলের ক্ষেত্রেও রয়েছে তাঁর প্রয়াস।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করায় এমবাপে লিগ ওয়ানে চলতি মরসুমে করে ফেললেন ১৭ গোল। অবনমনের আতঙ্কে থাকা লরিঁয়ের হয়ে ৫৬ মিনিটে ব্যবধান কমান তেরেন মফি। ২৮ ও ৬৭ মিনিটে পিএসজির হয়ে দু’টি দর্শনীয় গোল করেন এমবাপে। সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন তিনি। তাঁর এই দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দেকে মুগ্ধ বিপক্ষ কোচও। লরিঁয়ে কোচ ক্রিস্তোফ পেলিসিঁয়ে ম্যাচের পরে তাই বলে যান, ‘‘বিপক্ষে এমবাপের মতো ফুটবল থাকলে খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তে এমবাপেই বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। প্যারিস ও ফ্রান্সের হয়ে খেলতে নামলে গর্ব হয়। একই সঙ্গে ক্লাব ফুটবলে বিপক্ষে এমবাপে খেলতে নামলে তখন ভাল লাগে না মোটেও।’’
তবে জয়ের রাতেও পিএসজি দর্শকদের বিদ্রুপের হাত থেকে রক্ষা পেলেন না ম্যানেজার মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো। যদিও তা নিয়ে প্রাক্তন টটেনহ্যাম ম্যানেজার উষ্মাপ্রকাশে নারাজ। তিনি বলেছেন, “সমর্থকদের অনেক রকম চাহিদা থাকে। তার কোনটা হয়তো পূরণ করা সম্ভব হয়, কোনও সময়ে আমরা ব্যর্থ হই। ম্যানেজার হিসেবে দর্শকদের এই ক্ষোভ বা বিরক্তির মুখোমুখি তো হতেই হবে। আমি ইতিবাচক মন নিয়েই এই সমালোচনাকে গ্রহণ করছি। আমাদের বাকি ম্যাচেও এমনই জয় তুলে নিতে হবে। ফরাসি লিগ ওয়ান জিতলে হয়তো এই ক্লাবের সমর্থকরা খানিকটা খুশি হবেন।”