প্যারিস সঁঁ জরমঁকে জেতালেন লিয়োনেল মেসি। দলের হয়ে গোল করার পরে উচ্ছ্বাস লিয়োর। ছবি: টুইটার
অবশেষে ম্যাচ জিতল প্যারিস সঁ জরমঁ। মঁপেলিয়ারকে ৩-১ গোলে হারালেন লিয়োনেল মেসিরা। ম্যাচ জিতলেও পিএসজি-র চিন্তার কারণ হয়ে উঠলেন কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপের ফাইনালে তিন বার পেনাল্টি স্পট থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপে। সেই ফুটবলারই আবার দু’মিনিটের মধ্যে দু’টি পেনাল্টি নষ্ট করলেন। চোট নিয়ে মাঠও ছাড়লেন তিনি। সেই মেসির পায়েই ম্যাচ জিতল পিএসজি।
খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি পায় পিএসজি। এমবাপের মারা শট বাঁচিয়ে দেন মঁপেলিয়ারের গোলরক্ষক বেঞ্জামিন লেকোমতে। কিন্তু এমবাপে পেনাল্টি নেওয়ার আগেই বিপক্ষ ফুটবলাররা বক্সে ঢুকে পড়ায় আরও এক বার পেনাল্টি নিতে বলেন রেফারি। সে বার তাঁর শট পোস্টে লেগে ফেরে। এমনকি ফিরতি বলে এমবাপের শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। হতাশ চোখে বলের দিকে তাকিয়ে থাকেন এমবাপে।
এমবাপের জন্য দিনটা একদম ভাল যায়নি। ২১ মিনিটের মাথায় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল আরও একটা ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করবে মেসিদের দল। কিন্তু সেই মেসিই রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দেন। ৫৫ মিনিটের মাথায় তাঁর পাস থেকে গোল করেন রুইজ়। ৭২ মিনিটের মাথায় নিজেই গোল করে ব্যবধান বাড়ান মেসি। সেইসঙ্গে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন।
৮৯ মিনিটের মঁপেলিয়ারের হয়ে একটি গোল শোধ করেন নরডিন। তবে তাতে জিততে সমস্যা হয়নি প্যারিসের ক্লাবের। অতিরিক্ত সময়ে দলের তৃতীয় গোল করেন এমেরি। এই গোলের পাস বাড়ান আশরফ হাকিমি। ৩-১ জিতে মাঠ ছাড়েন মেসিরা। এই ম্যাচে পিএসজি-র আর এক তারকা ফুটবলার নেমার খেলেননি। কিন্তু তাঁর অভাব পূরণ করে দিলেন মেসি।
ম্যাচ শেষে এমবাপের চোট নিয়ে মুখ খুলেছেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ের। তিনি বলেছেন, ‘‘এমবাপের হাঁটু ও উরুতে লেগেছে। তাই ওকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনি। কিন্তু খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। খেলায় এই ধরনের চোট লেগেই থাকে।’’ নেমারকে কেন বিশ্রাম দিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও শোনা গিয়েছে গাল্টিয়ারের মুখে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের পর পর ম্যাচ আছে। তাই ফুটবলারদের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিতে হবে। সেই কারণে একসঙ্গে সবাইকে মাঠে নামাতে পারছি না।’’