আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে? চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়ে হয়তো সে কথাই ভাবছেন লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র
আরও এক বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অধরাই থেকে গেল লিয়োনেল মেসির। ২০১৫ সালে শেষ বার বার্সেলোনার হয়ে ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। তার পর থেকে আর সেই স্বাদ পাননি। এ বার সুযোগ ছিল। কিন্তু পারলেন না। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল পিএসজি। মেসির মতোই ব্যর্থ কিলিয়ান এমবাপেও। গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না তাঁকে।
প্রথম পর্বের খেলায় পিএসজির ঘরের মাঠে ১-০ জিতেছিল বায়ার্ন। দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের ঘরের মাঠে আরও দাপট নিয়ে খেলল তারা। তার মধ্যেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন পিএসজির ভিটিনহা। বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমারকে পরাস্তও করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোললাইন সেভ করেন ডি লিট।
প্রথমার্ধে গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল হল। তবে দু’টিই পিএসজির বিরুদ্ধে। ৬১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন এরিক ম্যাক্সিম চৌপো মোটিং। গোরেৎজ়কার পাস ধরে গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে খেলার ভাগ্য নিশ্চিত করে দেন সার্জে ন্যাব্রি। বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। দুই পর্ব মিলিয়ে জার্মানির ক্লাব জেতে ৩-০ গোলে।
চোটের কারণে দলে ছিলেন না নেমার। কিন্তু এমবাপে, মেসি দু’জনেই ৯০ মিনিট খেললেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে একার দক্ষতায় দলকে ফিরিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু ক্লাবের হয়ে সেটা পারলেন না তিনি। এমবাপেকে সারা ক্ষণ আটকে রাখল বায়ার্নের রক্ষণ। ফলে মেসি একা হয়ে গেলেন। তিনিও গোলের মুখ খুলতে পারলেন না।
অন্য দিকে এসি মিলানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ইংল্যান্ডের ক্লাব টটেমহ্যাম হটস্পার। প্রথম পর্বের খেলায় নিজেদের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল মিলান। দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে গোলই করতে পারলেন না টটেনহ্যাম ফুটবলাররা। হ্যারি কেন, সন হিউ মিনরা ব্যর্থ। ০-০ শেষ হল খেলা।
ঘরের মাঠে হারায় প্রশ্ন উঠে গেল টটেনহ্যাম কোচ আন্তোনিয়ো কন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে। খেলা চলাকালীনই তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন টটেনহ্যাম সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় কন্তেকে।