এই দৃশ্য আরও এক বার দেখতে চাইবেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। —ফাইল চিত্র।
আরও একটি ম্যাচে ডাগ আউটে নেই কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় ১১ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এখনও আশা ছাড়ছে না তারা। বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্সের ঘরের মাঠে জিততে নামবে লাল-হলুদ। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বিনো জর্জ।
কেরালার বিরুদ্ধে ম্যাচ সহজ হবে না জানেন জর্জ। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জর্জ বলেন, “জানি কেরালা শক্তিশালী দল। গ্যালারি ভর্তি দর্শক থাকবে। কিন্তু তাতে আমাদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। কারণ, কলকাতায় এত দর্শকের মাঝে খেলার অভিজ্ঞতা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের আছে। আশা করছি ফুটবলারেরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবে।”
ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট তালিকায় ১১ নম্বরে থাকলেও ছ’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরুর এফসির সঙ্গে তাদের পয়েন্টের তফাত মাত্র ৪। বেঙ্গালুরু এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। তাই এখনও সুযোগ রয়েছে লাল-হলুদের। তবে ফুটবলারদের চোট তাদের বার বার সমস্যায় ফেলেছে। এই মরসুমে নন্দকুমারকে আর পাওয়া যাবে না। সউল ক্রেসপো আর লালচুংনুঙ্গারও চোট রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ খেলতে পারবেন কি না এখনও জানেন না জর্জ।
খেলার আগে প্রথম একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইস্টবেঙ্গল। জর্জ বলেন, “নন্দর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্রেসপো দলের সঙ্গে এসেছে। ম্যাচের আগে আমরা শেষ অনুশীলনের পরে প্রথম একাদশ ঠিক করব। আশা করছি ভাল ফুটবলারদের পাওয়া যাবে।”
জর্জের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে গিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা অমন সিকে। তাঁকে সিনিয়র দলে ঢোকানো হয়েছে। সুযোগ পেয়েছেন শ্যামল, মহীতোষরাও। এই তরুণদের নিয়ে আশাবাদী জর্জ। তিনি বলেন, “আমরা ঠিক দিকেই এগোচ্ছি। বেশ কয়েক জন তরুণ ফুটবলারকে সিনিয়র দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সায়ন, বিষ্ণুরা এর মধ্যেই নজর কেড়েছে। আশা করছি বাকিরাও সিনিয়র দলে সুযোগ পেলে ভাল খেলবে।”
বুধবার কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে। টেলিভিশনে দেখা যাবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। তা ছাড়া জিয়ো সিনেমা অ্যাপেও দেখা যাবে খেলা।