ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চর্চা তুঙ্গে। নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছিল ১৭ থেকে ১৯ অগস্ট। যদিও বুধ ও বৃহস্পতিবার কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি বলে সূত্রের খবর। আজ, শুক্রবার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের রাতেই ভারতের ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসিত করে ফিফা! স্থগিত রাখা হয় চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে হতে চলা মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপও। এআইএফএফ পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-কে তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই দেখছে ফিফা। তারা জানিয়েছে, তখনই নির্বাসন তুলে নেওয়া হবে যখন ফেডারেশনের কর্মসমিতি ফুটবল পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে।
ভারতকে নির্বাসিত করার কয়েক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছিল ফিফা। জানিয়েছিল, ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় কোনও ব্যক্তি নিজে থেকে ঢুকতে পারবেন না। রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবেই তাঁকে আসতে হবে। সিওএ ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারকে (২৪ জন পুরুষ এবং ১২জন মহিলা) ভোটাধিকার দিতে চেয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে ফিফার অবস্থান সিওএ-কে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। এই নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এ এস বোপন্না এবং বিচারপতি জে বি পাদরিয়ালার বেঞ্চ শুনানি মুলতুবি করে ২২ অগস্ট নতুন তারিখ দেয়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ৩৬টি রাজ্য সংস্থার কর্তারা আলোচনায় বসে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেন। সভাপতি পদে, কোষাধ্যক্ষ ও কর্মসমিতির নির্বাচনে জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার ইউজেনসন লিংডোর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সম্মতিপত্রে এখনও স্বাক্ষর করেননি তিনি। কারও কারও মতে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নাও দিতে পারেন লিংডো।
বাংলা থেকে সভাপতি ও কর্মসমিতির সদস্য পদে লড়াইয়ের জন্য মনোনিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা আইএফএ-র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়! ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, কেন্দ্রের সমর্থন বা বরাভয় নিয়ে কোনও প্রার্থী শেষ মুহূর্তে উদয় হন কি না, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। ফেডারেশনের ডামাডোলের মধ্যে খেলোয়াড়দের প্রশাসনে নিয়ে আসা নিয়ে একটা দাবি উঠেছে। সিওএ-র প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রেও ন্যূনতম ২৫ শতাংশ খেলোয়াড়দের রাখার কথা বলা হয়েছে। কোনও খেলোয়াড়ের মুখ প্রাধান্য পায় কি না, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে।