ভরসা: নেরিউস (বাঁ দিকে) ও হাভিয়ের।
আইএসএলে অভিষেক ২০১৭ সালে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ লিগের শেষ চারে খেলার আশা এখনও পূর্ণ হয়নি জামশেদপুর এফসি-র। ২০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে গত মরসুমে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছিল তারা। এ বার ছবিটা বদলাতে মরিয়া জামশেদপুর আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে কেরল ব্লাস্টার্স থেকে অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার জর্ডান মারে ও এফসি গোয়া থেকে ঈশান পণ্ডিতাকে সই করিয়েছে।রক্ষণে স্টিভন এজ়ের শূন্যস্থান পূরণ করতে চেন্নাইয়িন এফসি থেকে নিয়েছে ৩৩ বছর বয়সি ব্রাজিলের এলি সাবিয়াকে। স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন রেঞ্জার্স এফসিতে খেলা গ্রেগ স্টুয়ার্ট যোগ দিয়েছেন জামশেদপুরে। এটিকে-মোহনবাগান থেকে এসেছেন প্রণয় হালদার। এ ছাড়াও রয়েছেন কোমল থাটাল, ঋত্বিক দাসের মতো তরুণরা।
অষ্টম আইএসএলে জামশেদপুর যাত্রা শুরু করছে ২১ নভেম্বর। প্রতিপক্ষ এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই মুহূর্তে গোয়ায় অনুশীলনে ব্যস্ত নেরিউস ভাল্সকিসরা। প্রস্তুতি ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে ২-০ হারায় জামশেদপুর। ১-১ ড্র করেছে বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে। তবে জামশেদপুরের বড় ধাক্কা চোট পেয়ে ফারুখ চৌধরির ছিটকে যাওয়া।
তুরুপের তাস: ২০১৯-’২০ মরসুমে আইএসএলের ফাইনালে চেন্নাইয়িন এফসির ওঠার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন নেরিউস। ফাইনালে এটিকের কাছে হারলেও ২০ ম্যাচে ১৫টি গোল করে সোনার বুট পেয়েছিলেন তিনি। নেরিউসের ক্ষিপ্রতা আতঙ্ক বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কাছে। দু’পায়ে জোরালো শট রয়েছে। খেলাও তৈরি করেন ৩৪ বছর বয়সি লিথুয়ানিয়া জাতীয় দলের স্ট্রাইকার।
আওয়েনের রণনীতি: ২০১৯-’২০ মরসুমের মাঝপথে দায়িত্ব নিয়েই আওয়েন কয়েল বদলে দিয়েছিলেন চেন্নাইয়িন এফসিকে। গত মরসুমে যোগ দেন জামশেদপুরে। বোল্টন, বার্নলি, উইগানের মতো ইংল্যান্ডের একাধিক নামী ক্লাবে কোচিং করানো আওয়েনের অস্ত্র আক্রমণাত্মক ফুটবল। শেষ চারে যোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারে আশাবাদী জামশেদপুর কোচ বলেছেন, ‘‘গত মরসুমেই আমরা প্রমাণ করেছিলাম, যে কোনও দলকে হারাতে পারি। আমাদের এ বার আরও আগ্রাসী ফুটবল খেলতে হবে।’’
চমক দিতে তৈরি ওড়িশা: গত মরসুমে সবার শেষে ছিল ওড়িশা এফসি। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৬-৫ হারিয়ে চমকে দিয়েছিল তারা। নতুন কোচ ফ্রান্সিসকো রামিয়েরেস গঞ্জালেস (কিকো) দল গড়ার সময় তারুণ্যের উপরেই আস্থা রেখেছেন। যুব দল থেকে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সি আকশুনা ত্যাগীকে। এটিকে-মোহনবাগান ছেড়ে ওড়িশায় যোগ দিয়েছেন অভিজ্ঞ হাভিয়ের হার্নান্দেস। সই করেছেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার জোনাথন জেসুস। মাঝমাঠে শক্তি বাড়াতে লা লিগায় মায়োরকার হয়ে খেলা ৩২ বছর বয়সি আরিদাই সুয়ারেসকে নিয়েছেন ওড়িশা কর্তারা। রয়েছেন বিনীত রাইয়ের মতো প্রতিশ্রুতিমানও। ২৪ নভেম্বর প্রথম ম্যাচে ওড়িশার প্রতিপক্ষ সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসি।
তুরুপের তাস: রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলের প্রাক্তনী হাভিয়ের হার্নান্দেস এ বার ওড়িশা মাঝমাঠের প্রধান ভরসা। ঠান্ডা মাথায় খেলা তৈরি করেন। নিখুঁত পাস দেন। দূর পাল্লার শটে গোল করতে দক্ষ। ২০১৯-’২০ মরসুমে আইএসএল ফাইনালে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে এটিকের হয়ে জোড়া গোল করেছিলেন।
কিকোর পরীক্ষা: ৫১ বছর বয়সি কিকো স্পেনের একাধিক ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। পোলান্ডের সর্বোচ্চ লিগের দল উইসলা কারকাওয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ৪-২-৩-১ ছকে আক্রমণাত্মক ফুটবলই অস্ত্র তাঁর। কিকোর কোচিংয়ে অষ্টম আইএসএলেও চমক দিতে তৈরি ওড়িশা।