এক মাস ধরে চলবে জিএসএল। বাঙালঘটি ক্লাবের মালিক বুর্দ্ধেন্দু রায় বলেন, “আমাদের এখানে খেলার মাঠগুলি প্রায় সবই খালি পরে রয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা খেলার মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই মোবাইলে ব্যস্ত। তাই যাতে মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসে, তার জন্যই ফুটবলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।”
—নিজস্ব চিত্র
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় শুরু হচ্ছে গুসকরা সুপার লিগ বা জিএসএল। আয়োজনে আমরা সুবজ ক্লাব। আইএসএলের ধাঁচে এই লিগ তৈরি করার করছে তারা।
শনিবার থেকে গুসকরা কলেজ মাঠে শুরু হচ্ছে জিএসএল। মোট পাঁচটি দল নিয়ে এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হচ্ছে লিগটি। গুসকরা শহর তো বটেই আশেপাশের এলাকাতেও বেশ জিএসএল নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। গুসকরা ছাড়াও শিবদা, বোলপুর, বর্ধমান, গণপুর, এরুয়ার,আউসগ্রাম, ছোড়া, ইলামবাজার, লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার ছেলেরা জিএসএলে খেলবেন। গোপিকা বয়েজ, ডিএমএস, স্টার সুটার, ডায়মণ্ড এফ সি ও বাঙালঘটি এই পাঁচটি দলে মোট ১০৫ জন খেলোয়াড়ের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এক মাস ধরে চলবে জিএসএল। বাঙালঘটি ক্লাবের মালিক বুর্দ্ধেন্দু রায় বলেন, “আমাদের এখানে খেলার মাঠগুলি প্রায় সবই খালি পরে রয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা খেলার মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই মোবাইলে ব্যস্ত। তাই যাতে মোবাইল ছেড়ে মাঠে আসে, তার জন্যই ফুটবলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।”
আমরা সবুজ ক্লাবের সম্পাদক বিনয় রায় বলেন, “ফুটবল দল গড়ার কাজ শেষ। নিলামের মাধ্যমে দল গঠনের কাজ হয়ে গিয়েছে। নিয়ম করা হয়েছে প্রতিটি দলে দু’জন অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সি খেলোয়াড়কে রাখতে হবে। এক একটি দলে কম পক্ষে ১৫ জন ফুটবলারের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এটা বাধ্যতা মূলক। প্রথম একাদশের মধ্যে দু’জন অনূর্ধ্ব-১৭ বছরের ফুটবলারকে নামাতে হবে।” নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ফুটবলের প্রতি ভালবাসা ও আকৃষ্ট করার জন্যই অনূর্ধ্ব-১৭ বছরের বয়সি ফুটবলারদের দলে রাখার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান সভাপতি চিরঞ্জিত ব্যানার্জী। উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, “প্রতি দিন খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। অর্থাৎ রেফারি ও লাইসম্যান হিসেবে মহিলারা কাজ পরিচালনা করবেন। এটাও একটা আকর্ষণ বলে তিনি মনে করেন।