প্রতীকী ছবি।
সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চূর্ণ হয়েছিল কেরলের কাছে হেরে। ছয় মাস পরে জাতীয় গেমস ফুটবলের ফাইনালে ফের প্রতিপক্ষ দুই রাজ্য। আজ, মঙ্গলবার গুজরাতের আমদাবাদে বাংলা কি পারবে কেরলকে হারিয়ে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নিতে?
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে ৩৬তম জাতীয় গেমসে এ বার শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে বাংলা দল। প্রথম ম্যাচে পঞ্জাবকে ২-১ গোলে হারান সুরজিৎ হাঁসদারা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় গুজরাতের বিরুদ্ধে। কর্নাটককেও একই ফলে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করে শেষ চারে যোগ্যতা অর্জন করে বাংলা। রবিবার সেমিফাইনালে সার্ভিসেসকে ১-০ গোলে হারান অমিত টুডুরা। কিন্তু জাতীয় গেমসের ফুটবলে ফাইনালে ওঠার আনন্দ উবে গিয়েছিল বাংলা শিবির থেকে। একমাত্র গোল করে সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক সুরজিৎ গুরুতর চোট পান। স্টেডিয়াম থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালেও। সুরজিতের অবশ্য চোট গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। আমদাবাদ থেকে ফোনে বাংলার কোচ বললেন, ‘‘সুরজিতের কোনও সমস্যা নেই। চিকিৎসকরা ওকে খেলার অনুমতিও দিয়েছেন।’’
মাস ছয়েক আগেই সন্তোষ ট্রফিতে কেরলের কাছে বাংলা হারলেও অতীতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিশ্বজিৎ। বললেন, ‘‘প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবছি না। ওদের খেলা দেখার সুযোগ সে ভাবে পাইনি।’’ এর পরেই বিশ্বজিতের হুঙ্কার, ‘‘বাংলা জেতার জন্যই সব সময় মাঠে নামে। নরিহরি শ্রেষ্ঠা, রবি হাঁসদার মতো অভিজ্ঞ স্ট্রাইকাররা কলকাতা লিগে নিজেদের প্রমাণ করেই বাংলা দলে জায়গা করে নিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কিছুই ভাবতে চাই না এই মুহূর্তে।’’
আজ ফের বাংলার ফুটবলারদের দিকে তাকিয়ে সমর্থকেরা।