এ ভাবেই মুম্বইয়ের কাছে বার বার আটকে গেলেন ফৈয়াজরা। ছবি: টুইটার
অজস্র গোল নষ্টের খেসারত দিতে হল মহমেডান স্পোর্টিংকে। গোটা ম্যাচে গোল লক্ষ্য করে মোট ১১টি শট মারলেও বল জালে জড়াতে পারেননি মার্কাস জোসেফ, শেখ ফৈয়াজরা। ভাল খেলেও শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হল সাদা-কালো শিবিরের। ১-০ গোলে মহমেডানকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠে গেল মুম্বই সিটি এফসি। ৯০ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে একমাত্র গোল করেন বিপিন সিংহ।
যুবভারতীতে ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখাচ্ছিল মহমেডান। দুই প্রান্ত ধরে একের পর এক আক্রমণ করছিলেন আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা। বাঁ প্রান্তে অভিষেক আম্বেকর ও ডান প্রান্তে ফৈয়াজকে সচল রেখেছিলেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রীতমকে। তাঁরা দু’প্রান্ত ধরে একের পর এক বল বাড়াচ্ছিলেন মার্কাসের উদ্দেশে। কিন্তু আক্রমণ হলেও গোলের মুখ খুলছিল না।
অন্য দিকে শুরু থেকে মহমেডানের একের পর এক আক্রমণে কিছুটা চাপে পড়ে যায় মুম্বই। মাঝেমধ্যে প্রতিআক্রমণ থেকে বিপিনরা উঠলেও সেই আক্রমণ বিশেষ দানা বাঁধছিল না। প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত মহমেডান। সুযোগ নষ্ট করেন মার্কাসরা।
৩০ মিনিটের পরে খেলায় ফেরে মুম্বই। মাঝমাঠে গ্রেগ স্টুয়ার্ট ও আহমেদ জহু জুটি সচল হতেই খেলার ছবি কিছুটা বদলায়। কিন্তু গোল পায়নি আইএসএলের ক্লাবও। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি ডাইরেক্ট ফুটবল খেলা শুরু করে দু’দল। আক্রমণ, প্রতিআক্রমণের খেলা চলতে থাকে। মাঝেমধ্যেই গোলের সুযোগ তৈরি হলেও দু’দলের রক্ষণ সজাগ ছিল। বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন দু’দলের গোলরক্ষকও।
যখন মনে হচ্ছে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে তখনই নাটক। মাঝমাঠ থেকে ডান দিকে অরক্ষিত ছাংতের দিকে বল বাড়ান স্টুয়ার্ট। পরিবর্ত হিসাবে নামা ছাংতে গতিতে মহমেডানের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের পরাস্ত করে বক্সে ঢোকেন। তিনি চাইলে নিজেও শট নিতে পারতেন । তা না করে গোলের সামনে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বিপিনের দিকে বল বাড়ান। বিপিন জালে বল জড়াতে ভুল করেননি। গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন তিনি।