মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া ফুটবলারের বিচ্ছেদ চান একাংশ সমর্থক। ছবি: টুইটার।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সব থেকে বেশি সাতটি গোল করেছিলেন লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ইউলিয়ান আলভারেস। বিশ্বকাপের পর থেকে তরুণ স্ট্রাইকারের বিচ্ছেদের দাবিতে সোচ্চার আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীরা। ২০ হাজারের বেশি ফুটবলপ্রেমী এই দাবির সমর্থনে সই করেছেন।
বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরে নিজের শহর কালচিনে যান ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফুটবলার। শহরবাসী তাঁকে নায়কের সম্মান দেন। আয়োজন করা হয় বিরাট বিজয় মিছিলের। একটি গাড়ির ছাদে ছিলেন আলভারেস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী মারিয়া এমিলিয়া ফেরেরোও। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোল বাধে এর পর।
আলভারেসকে তাঁর শহরে স্বাগত জানাতে বহু মানুষ পথে নেমেছিলেন। বিজয় উৎসবের মাঝে কয়েক জন সমর্থক এক সঙ্গে ছবি তোলার জন্য আলভারেসকে অনুরোধ করেন। আপত্তি করেননি ২২ বছরের ফুটবলারও। অভিযোগ, আলভারেসের বান্ধবী মারিয়া বাধা দেন। তাঁর আপত্তির জন্য প্রিয় ফুটবলারের সঙ্গে ছবি তুলতে পারেননি সেই সমর্থকরা। মারিয়ার এই আচরণে তাঁর উপর রেগে গিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, মারিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে আলভারেসকে।
বিচ্ছেদের দাবিতে সেই ঘটনার পরেই সোচ্চার হন আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকদের একাংশ। শুরু হয় সই সংগ্রহ। কয়েক দিনের মধ্যেই ১০ হাজার সমর্থক আলভারেস-মারিয়ার বিচ্ছেদের দাবিকে সমর্থন করে পিটিশনে সই করেন। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চলছে ক্ষুব্ধ সমর্থকদের সই সংগ্রহ। স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আলভারেস অবশ্য বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার কথা জানাননি। চার বছরের বান্ধবীর সঙ্গেই কাটিয়েছেন বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ। সমাজমাধ্যমে নিজেদের ছবি আলভারেস ভাগ করে নিয়েছেন ভক্তদের সঙ্গে। তার পরেই আবার তাঁদের বিচ্ছেদের দাবি আরও তীব্র হতে শুরু করেছে।
বিশ্বকাপের পর ছুটি কাটিয়ে কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ড ফিরেছেন আলভারেস। যোগ দিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির অনুশীলনে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যকে দারুণ ভাবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁর ক্লাব।