জয়ই লক্ষ্য মোহনবাগানের। ছবি: টুইটার।
এএফসি কাপে টানা দু’টি ম্যাচে জিতে গ্রুপ পর্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে মোহনবাগান। আবার তারা ফিরছে ডুরান্ড কাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে রবিবার তাদের প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি। গোটা দল আত্মবিশ্বাসী। যে কোনও উপায়ে মুম্বইকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে চায় তারা।
কিন্তু সমস্যা হল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুনের পরিসংখ্যান। আইএসএলের এই একটিই দলের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের অতীত পরিসংখ্যান ভাল নয়। এখনও পর্যন্ত কোনও দিন মুম্বইকে হারাতে পারেনি তারা। তবে কোচ জুয়ান ফেরান্দোর আশা, সেই পরিসংখ্যান পরিবর্তন করতে পারবেন তাঁরা।
রবিবারের ম্যাচকে প্রাক মরসুম প্রস্তুতি হিসাবেই দেখেছেন ফেরান্দো। দলের পক্ষে সুবিধা, চোখের সংক্রমণ কাটিয়ে যোগ দিয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। অনুশীলনও করেছেন। অভিষেকে ভাল খেলেছেন হেক্টর ইয়ুসতেও। গোল করেছেন জেসন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকু। তাই শক্তিশালী মুম্বইকে টেক্কা দেওয়ার মতো অস্ত্র মোহনবাগানের হাতে রয়েছে।
শনিবার ফেরান্দো বলেছেন, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার মতো দল তৈরি করেছে মুম্বই। আমরা এএফসি কাপের জন্য। দু’দলের কাছেই ভাল প্রস্তুতি হতে যাচ্ছে। মুম্বই বেশ শক্তিশালী। দুই উইং দিয়ে ভাল খেলার মতো ফুটবলার রয়েছে। ছাংতে, বিপিন, মেহতাব, আকাশদের মতো সফল ফুটবলার রয়েছে। কিন্তু আমরা দুটো ম্যাচ ভাল খেলে তৈরি হয়েছি। তাই খেলাটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। জেতার জন্য সব রকম চেষ্টা করব। তবে মুম্বই এই ম্যাচের আগে ১০ দিন বিশ্রাম পেয়েছে। আমরা মাত্র তিন দিন।”
কম বিশ্রাম পেয়েও এএফসি কাপে ভাল ফল করতে মরিয়া মোহনবাগান। সেটা পরিষ্কার ফেরান্দোর কথাতেই। বলেছেন, “আমাদের চোট-আঘাত বাঁচিয়ে খেলতে হবে। অনেক ফুটবলারই নতুন। প্রাক মরসুম প্রস্তুতি এখনও চলছে। শেষ দুটো ম্যাচে অনেকটাই গুছিয়ে নিলেও আরও কিছু জায়গায় উন্নতি বাকি। আগে কোনও দিন মুম্বইকে হারাইনি বলে এ বারও পারব না তার মানে নেই। মানসিক বাধা নিয়ে খেলতে নামব না।”
দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু মনে করেন, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়ার সময় এসে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “অনেক দিন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিতিনি। এ বার চাকা ঘোরাতে হবে। শেষ দুটো ম্যাচে আমরা ছ’গোল করলেও গোল হজম করেছি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গোল না খেয়ে জিততে চাই।”