মোহনবাগান দল। ছবি: টুইটার
ডার্বিতে হেরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া কঠিন করে ফেলেছিল মোহনবাগান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ আটে পৌঁছল তারা। তার প্রধান কারণ গোল পার্থক্য। নিজেদের শেষ ম্যাচে জামশেদপুরকে ৬-০ গোলে হারিয়ে মোহনবাগানের সমান পয়েন্ট হয় মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় শেষ আটে যেতে পারল না সাদা-কালো ব্রিগেড।
এ বারের ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী ছ’টি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। বাকি দু’টি দল ঠিক হবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ছ’টি দলের মধ্যে। গ্রুপ শীর্ষে শেষ করায় আগেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মুম্বই সিটি, গোকুলম কেরল, এফসি গোয়া ও চেন্নাইয়িন এফসি। গ্রুপ এফ-এর শীর্ষে কোন দল থাকবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
মোহনবাগান কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে কি না তা নির্ভর করছিল রবিবারের দু’টি ম্যাচের উপর। প্রথম ম্যাচে ডাউনটাউন হিরোজ়কে হারায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। পয়েন্টে গ্রুপের শীর্ষে থাকা গোয়াকে ছুঁয়ে ফেললেও গোল পার্থক্যে শীর্ষে শেষ করে গোয়া। কিন্তু ৭ পয়েন্ট থাকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রথম দল হিসাবে শেষ আটে যায় নর্থইস্ট।
মোহনবাগানের পয়েন্ট ৬। জামশেদপুরকে ৬-০ গোলে হারায় মহমেডান। চারটি গোল করেন ডেভিড লালাংসাঙ্গা। বাকি দু’টি গোল ফানাইয়ের। জামশেদপুরকে হারিয়ে মহমেডানের পয়েন্টও হয়েছে ৬। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত মহমেডানের গোল পার্থক্য ছিল -১। ৬ গোল করায় গোল পার্থক্য বেড়ে হয়েছে +৫। মোহনবাগানের গোল পার্থক্য +৬। অর্থাৎ, গোল পার্থক্য ১ বেশি থাকায় শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
ডুরান্ডে আর একটি দলেরই সুযোগ রয়েছে মোহনবাগানের সমান পয়েন্টে পৌঁছনোর। ইন্ডিয়ান আর্মিকে হারাতে পারলে রাজস্থান ৬ পয়েন্টে পৌঁছবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ৬ পয়েন্টে থাকা ইন্ডিয়ান আর্মির গোল পার্থক্য কমবে। ফলে সেই গ্রুপে যে দলই দ্বিতীয় স্থানে শেষ করুক না কেন মোহনবাগানকে টপকাতে পারবে না তারা। সেই কারণে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দ্বিতীয় দল হিসাবে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।