জেসন কামিংস। ছবি: টুইটার।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলে যোগ দিয়েছেন জেসন কামিংস। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা এই ফুটবলার এ-লিগেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। বিশ্বকাপে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। সেই স্মৃতি এখনও তাজা কামিংসের। সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকার জানালেন মেসির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, “আমি বড় ম্যাচের ফুটবলার।”
গত মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার এ-লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে ২১টি গোল করেছিলেন কামিংস। তিনি মোহনবাগানের ইতিহাস সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েই ভারতে এসেছেন। কামিংস বলেন, “এখানে আসার আগে আমি অনেক ভিডিয়ো দেখেছি। এখানকার সমর্থকদের দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। সমর্থকদের মধ্যে আবেগ দেখেছি। সেটা দেখেই আমি আমার এখানে আসার ইচ্ছা বেড়ে গিয়েছে। এরকম বড় ক্লাবে খেলার ইচ্ছা ছিল আমার। রাত ৩টের সময় আমি কলকাতায় এসেছিলাম। সেই সময়ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন আমার জন্য। আমি যেখানেই গিয়েছি সমর্থন পেয়েছি, সমাজমাধ্যমেও পাই। সেই কারণেই এখানে এসেছি।”
শুধু মোহনবাগান নয়, কলকাতা ডার্বি সম্পর্কেও খোঁজ নিয়েছেন কামিংস। তিনি বলেন, “ডার্বির ভিডিয়ো আমি দেখেছি। আমি বড় ম্যাচের ফুটবলার। এই ধরনের ম্যাচ খেলতে আমি ভালবাসি। আমরা সব ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব এবং গোল করার চেষ্টা করব। আমি স্ট্রাইকার, গোল করতে ভালবাসি। প্রতি ম্যাচে গোল করতে চাই। সেটা ডার্বি হোক বা অন্য কোনও ম্যাচ। কলকাতা ডার্বিতে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। সমর্থকেরা অপেক্ষা করে রয়েছে, আমি গোল করে তাদের আনন্দ দিতে চাই।”
কামিংস মনে করেন, তাঁর জীবনে বিশ্বকাপ একটা বদল এনেছে। তাঁর খেলার উন্নতি হয়েছে। কামিংস বলেন, “বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাটাই আলাদা। ফ্রান্সের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা আমি অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।” বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধেও খেলেছেন কামিংস। সেখানে তাঁর সঙ্গে লিয়োনেল মেসির দেখা হয়। আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি। কামিংস বলেন, “আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল ওটা। মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওকে খেলতে দেখাটাই একটা শিক্ষার মতো। আশা করি সেটা আমাকে ভবিষ্যতে ভাল ফুটবলার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”
মঙ্গলবার মোহনবাগানের নতুন জার্সি প্রকাশিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে কামিংস ছাড়াও ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ২৫ বছরের এই মিডফিল্ডারকে এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি মোহনবাগানে সই করা প্রসঙ্গে বলেন, “এই দলের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব মোহনবাগান। এই দলের উন্নতি করার ইচ্ছা রয়েছে। সেই কারণেই আমি এই ক্লাবে সই করেছি। এখানে আমি দেশের এবং বিদেশের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাব। আমি মনে করি ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলার ক্ষেত্রে এটা আমাকে সাহায্য করবে।”