আন্তোনিয় হাবাস। —ফাইল চিত্র।
গত ম্যাচে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পরের ম্যাচে সামনে জামশেদপুর এফসি। সেই ম্যাচে ড্রয়ের কথা ভাবছেন না বলে জানালেন সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিয় লোপেজ হাবাস। তিনি শুধু জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবেন।
মোহনবাগানের এখনও সাতটি ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে কোনও ম্যাচই হারতে চাইছেন না হাবাস। তিনি বলেন, “জেতার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে হারলে সমস্যা হবে। আমরা এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নামব। অন্য দল কী করছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি। নিজেদের ম্যাচগুলো জিততে চাই আমরা। নিজেদের খেলায় মন দিতে চাই। নিজেদের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই।”
ওড়িশা ম্যাচ এখন অতীত মোহনবাগান কোচের কাছে। হাবাস বলেন, “আগের ম্যাচে যাদের বিরুদ্ধে খেলেছি এই ম্যাচে তারা নেই। প্রতিপক্ষ বদলে গিয়েছে। অন্য একটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। অন্য রকম একটা ম্যাচ। আমাদের পরিকল্পনাও আলাদা হবে। কী কৌশল হবে, তা ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।”
খালিদ জামিল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জামশেদপুর দলটি বদলে গিয়েছে। হাবাসও মরসুমের মাঝে কোচ হয়েছেন। তিনি যদিও আগে এই দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন। হাবাস বলেন, “খালিদ ভাল কাজ করছে। নর্থইস্টের কোচ ছিল যখন, তখন থেকেই চিনি। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাল ম্যাচ হবে।”
জামশেদপুরে রয়েছেন জেরেমি মানজোরো। তিনি সেট পিস থেকে গোল করায় দক্ষ। হাবাস বলেন, “ওরা সেটপিসে ভাল হতে পারে। তবে সেটপিস এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় কর্নার, ফাউল এগুলো হতে না দেওয়া। সে জন্য আমাদের বুদ্ধি করে খেলতে হবে।” নিজেদের দুর্বলতা সম্পর্কেও সজাগ হাবাস। তিনি বলেন, “প্রতি ম্যাচ পাঁচ গোলে বা তিন গোলে জেতা সম্ভব না। আপনারা দেখেছেন, গত কয়েকটি ম্যাচে ব্যবধান কমই হয়েছে। দু-এক গোলের বেশি ব্যবধানে কেউ জিততে পারেনি। লিগের এই জায়গায় এসে অনেক গোল করে ম্যাচ জেতা কঠিন। কারণ, প্রায় সব দলই একে অপরের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে গিয়েছে।”
ডার্বির আগে শেষ ম্যাচ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবতে নারাজ হাবাস। তিনি বলেন, “সমর্থকদের কাছে ডার্বি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে জামশেদপুর ম্যাচের গুরুত্ব যে রকম, ডাবির গুরুত্বও সে রকম। এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবছি না। আগে আমাদের কালকের ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে একশো শতাংশ দিতে হবে। তার পরে ডার্বি নিয়ে ভাবা যাবে।”