জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল চিত্র।
এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান। তবুও প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে একেবারেই হালকা ভাবে নিতে রাজি নন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, “ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এএফসি কাপের প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিটি দেশের সেরা দলগুলি এই প্রতিযোগিতায় খেলতে আসে। আমরা এগিয়ে থাকলেও তিন পয়েন্ট তুলে নিয়ে নক-আউট পর্যায়ে যাওয়ার চেয়ে অগ্রাধিকার আর কিছুতেই নেই।”
দশমীর রাতে যখন সারা বাংলা ব্যস্ত থাকবে দেবী দুর্গার নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে, তখন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগান মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের ক্লাবটির। গত বছর অবশ্য গঙ্গাপারের ক্লাব ৪-০ গোলে হারিয়েছিল পদ্মাপারের ক্লাবটিকে। তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান না জুয়ান।“এই মরসুমে বসুন্ধরা যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ওদের বিদেশিরাও খুব শক্তিশালী, যারা এক লহমায় ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারে।”, বক্তব্য সবুজ-মেরুন কোচের।
চোটের কারণে ফেরান্দো পাবেন না সুমিত রাঠি এবং আশিক কুরুনিয়নকে। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি অভাব বোধ করবেন ঘরের মাঠে মোহনবাগান সমর্থকদের। জুয়ান অবশ্য বলে গেলেন এই ব্যাপারে তাঁদের অসুবিধা হবে না। তাঁর কথায়, “আমরা পেশাদার দল। অবশ্যই আমরা সমর্থকদের জয়োল্লাসের অভাব বোধ করব, কিন্তু আমাদের মানসিকতা হবে তিন পয়েন্ট তুলে নক-আউটের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।” মোহনবাগান আইএসএলে শেষ ম্যাচ খেলেছিল গত ৭ অক্টোবর। প্রায় ষোলো দিনের ব্যবধান তাঁদের বেশ উপকারই করেছে বলে জানালেন আলবেনিয়ান স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকু। তিনি বলেন, “আমরা বিরতির প্রত্যেক দিন কঠোর অনুশীলন করেছি। ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী।”
অন্য ম্যাচে মলদ্বীপের মাজ়িয়া এস অ্যান্ড আরসির বিরুদ্ধে নামবে ওড়িশা এফসি।