কাজে এল না পেত্রাতোসের গোল। —ফাইল চিত্র।
এএফসি কাপের গ্রুপ ‘ডি’র লড়াইয়ে আটকে গেল মোহনবাগান। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। প্রতিযোগিতায় এই প্রথম পয়েন্ট হারাল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দাপট বেশি থাকলেও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসা বাংলাদেশের দলটি কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে লড়াই করল সমানে সমানে।
ম্যাচে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। ২০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোল বাতিল হয় অফসাইডের জন্য। শুরু থেকেই মাঝ মাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন সাহাল, লিস্টনেরা। ১৯ মিনিটে একটি সুযোগ নষ্ট করেন হুগো বুমোস। পরের মিনিটেই রাইট উইং থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস বাঁ পায়ে বক্সে বল দেন লিস্টনকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। যদিও লাভ হয়নি। প্রথম গোলের জন্য মোহনবাগানকে অপেক্ষা করতে হল আরও ৯ মিনিট। ম্যাচের ২৯ মিনিটে সবুজ-মেরুন শিবিরকে এগিয়ে দিলেন সেই পেত্রাতোসই। ডান দিক থেকে বুমোস বসুন্ধরার বক্সে বল দেন কামিন্সকে লক্ষ্য করে। তাঁর কাছ থেকে ছ’গজের বক্সে বল পান পেত্রাতোস। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বৃদ্ধি করে মোহনবাগান। ৩২ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সে দুরন্ত ক্রশ রাখেন সাহাল। কিন্তু মোহনবাগানের স্ট্রাইকারেরা কেউ জায়গায় পৌঁছতে পারেননি।
মোহনবাগান অবশ্য লিড ধরে রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ ৩৩ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সমতা ফেরায় বসুন্ধরা। ডর্টিলটনের এই গোলের জন্য দায় এড়াতে পারবে না মোহনবাগান রক্ষণ। রোবিনহোকে আটকানোর তেমন চেষ্টাই করলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। আনোয়ার আলি একটা চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। রোবিনহোর থেকে বল পেয়ে বাংলাদেশের ক্লাবটির হয়ে সমতা ফেরান ডর্টিলটন।
প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার রাশ নিজেদের পায়ে রাখার চেষ্টা করেন ফেরান্দোর ছেলেরা। তবে ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বসুন্ধরা। ডর্টিলটনের শট বারে গেলে ফিরে আসে। প্রতিপক্ষের বক্সে ডর্টিলটন একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে কতটা ভয়ঙ্কর তা দেখিয়েছেন বারে বারে। তবে ৫৪ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন আশিস রাই। পেত্রাতোসের কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বাঁদিকে বল পেয়ে গড়ানো শটে গোল করেন আশিস।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাও মোহনবাগান ধরে রাখতে পারল না রক্ষণের ভুলের জন্যই। বলা ভাল আশিসের ভুলে। ৬৯ মিনিটে আশিস বক্সের মধ্যে রোবিনহোকে ফাউল করলে বসুন্ধরাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। দুরন্ত শটে গোল করেন রোবিনহোই। বসুন্ধরার অধিনায়কের শক্তিশালী শটে বিশাল কাইত হাত ছোঁয়ালেও রুখতে পারেননি।
২-২ হওয়ার পর দু’দলের মরিয়া ফুটবলের সুবাদে কয়েক বার উত্তেজনা তৈরি হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ৭৩ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে নেওয়া পেত্রাতোসের দুরন্ত শট অল্পের জন্য বাইরে যাওয়া ছাড়া, কোনও দলই আর গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে চাপের মুখে মোহন রক্ষণে বার বার ফাঁক তৈরি হওয়া উদ্বেগে রাখবে ফেরান্দোকে।