শুভাশিস বসু। ছবি: এক্স।
রবিবার ওড়িশাকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান। গোল করে সবুজ-মেরুনকে জিতিয়েছেন জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদ। ম্যাচের পর ওড়িশার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন শুভাশিস বসু। মোহনবাগান অধিনায়কের দাবি, তাঁর দিকে জল ছোড়া হয়েছে। ওড়িশার ফুটবলারেরা ধাক্কাও মেরেছেন।
ম্যাচের পর মিক্সড জ়োনে কথা বলতে এসেছিলেন শুভাশিস। সেখানে তিনি বলেন, “ম্যাচের পর ওদের ডাগআউটের কাছে গিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা খারাপ ব্যবহার করে আমার সঙ্গে। আমার দিকে জল ছোড়া হয়। ধাক্কাও মারা হয়। মনে হয় ম্যাচ হেরে ওরা নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।” শুভাশিসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও ওড়িশার তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
নিজে ভাল খেলতে না পারলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি শুভাশিস। বলেছেন, “দারুণ একটা প্রত্যাবর্তন। কঠিন সময়েই আমরা নিজেদের সেরাটা বের করে আনি। সব সতীর্থকে ধন্যবাদ। ওড়িশাতেই বলেছিলাম দল ঘুরে দাঁড়াবে। অধিনায়ক হিসাবে এই দলকে নিয়ে আমি গর্বিত।”
ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে পারবেন ভেবে আরও খুশি শুভাশিস। বলেছেন, “ত্রিমুকুট জয় আমাদের অনুপ্রেরণা নয়। গোটা বছর ধরে যে পরিশ্রম করেছি সেটার ফল পাচ্ছি এটা ভেবেই ভাল লাগছে। ফাইনাল জিতে সেটা সম্পূর্ণ করতে চাই।”
গোলদাতা জেসন কামিংস বলেছেন, “আমরা ফাইনালের ট্রফিও জিততে পারি। গোটা মরসুমটাই ভাল গিয়েছে। ত্রিমুকুট জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আপাতত অনুশীলনে ফিরে ফাইনালে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।” তাঁর সংযোজন, “দলের মধ্যে জেতার একটা মানসিকতা চলে এসেছে। তখন প্রতিটা ম্যাচেই জিততে ইচ্ছা হয়। সেটা আমাদের মধ্যে রয়েছে।”