মোহনবাগান সমর্থকেরা। — ফাইল চিত্র।
লিগ-শিল্ড জিততে দরকার তিন পয়েন্ট। বাকি একটাই ম্যাচ। আক্ষরিক অর্থেই সোমবার মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে ‘ফাইনাল’ খেলতে নামছে মোহনবাগান। তারা ভালই জানে, জয় ছাড়া আর কোনও বিকল্প তাদের সামনে খোলা নেই। ম্যাচের আগে মোহনবাগানের সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেস সেটা স্বীকারও করে নিলেন। তবে এটাও জানাতে ভুললেন না, ৬০ হাজার দর্শকের সামনে ঘরের মাঠে খেলতে পারায় সুবিধা তার দলেরই থাকবে। বেশি কিছু ভেবে বা বলে দলের চাপ বাড়াতে চাইছেন না তিনি।
মুম্বই সিটি চলতি মরসুমে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিখুঁত খেলেছে তারা। মোহনবাগানকে লিগ-শিল্ড জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করানোর কারণ তারা নিজেরাই। মাঝে জুয়ান ফেরান্দো থাকার সময় বেশ কিছু ম্যাচে হেরেছে তারা। হারের হ্যাটট্রিকও হয়েছে। ফেরান্দোকে সরিয়ে আন্তোনিয়ো হাবাস কোচ হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তবে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে আচমকা হেরে যাওয়ায় সব বদলে যায়। সে কারণেই শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।
রবিবার পেরেস বলেছেন, “ঘরের মাঠে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে সোমবার খেলতে নামব। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের কাছে একটা সুবিধা। সমর্থকদের পাশে পেয়ে আমরা আরও ভাল খেলতে উদগ্রীব। জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না।” তাঁর সংযোজন, “আমরা শেষ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজিত। নিজেদের সেরাটা দিতে হবে ঠিকই। কিন্তু শান্ত থাকতে হবে এবং বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে। আগের ম্যাচের মতো রক্ষণ ফাঁকা করে আক্রমণে উঠে গেলে চলবে না। মুম্বই সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেবে। তাই বুদ্ধি দিয়ে খেলা খুব দরকার।”
মুম্বইয়ে প্রশংসা করলেও নিজেদের সামান্য হলেও এগিয়ে রাখছেন পেরেস। তিনি বলেছেন, “মুম্বই অনেক দিন আগে থেকেই এক নম্বরে রয়েছে। তখনও আমরা দ্বিতীয় স্থানে আসিইনি। লিগ-শিল্ড জয়ের ব্যাপারে ওরাই এগিয়ে। কিন্তু ৬০ হাজার সমর্থকের সামনে খেলা সোজা কাজ নয়। তাই আমরা অনেকটা এগিয়ে থেকে নামব।”
শনিবার মোহনবাগানের অনুশীলনে এসেছিলেন হাবাস। কিন্তু সোমবারের ম্যাচে তিনি ডাগআউটে থাকবেন কি না তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না পেরেস। বলেছেন, “উনি গত দু’সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। জানি না কাল ডাগ আউটে থাকতে পারবেন কি না। কিন্তু ওঁর ভাবনা, ওঁর চিন্তা ফুটবলারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। এটাও আসল কথা। গত দু’সপ্তাহ ওঁর না থাকা আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। তবে এটাও ঠিক সঙ্গে না থাকলেও আমাদের পরিকল্পনায় উনি ঠিক আছেন।”