বিশ্বকাপের মঞ্চে মার্তিনেসের এই ভঙ্গি নিয়ে এখনও চলছে সমালোচনা। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার নেওয়ার পর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ নিয়ে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গি ঘিরে উঠেছিল প্রশ্ন। তাঁর বিতর্কিত সেই ভঙ্গি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে আমেরিকার গায়িকা মিলি সাইরাসকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ উঠেছে একটি অনুষ্ঠানে মিলি নাকি নকল করেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের অশ্লীল ভঙ্গি।
বিশ্বকাপের মঞ্চে বিতর্কিত আচরণের জন্য এখনও সমালোচিত হতে হচ্ছে মার্তিনেসকে। তাঁর ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাও খুশি নয়। চারদিকে যখন সমালোচনা চলছে, সে সময় একটি অনুষ্ঠানে মার্তিনেসের ওই অশ্লীল ভঙ্গি কেন নকল করতে গেলেন মিলি? এই প্রশ্ন তুলে সমাজমাধ্যমে শুরু হয় আমেরিকার গায়িকার সমালোচনা। সমালোচকরা অবশ্য সত্যের অনুসন্ধান করেননি। মিলি এবং মার্তিনেসের একই ভঙ্গির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সমস্যাটা আসলে তৈরি করেছেন মিলি নিজেই। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি কয়েক দিন আগে একটি ছবি দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে মার্তিনেসের মতো করে ফুলের তোড়া ধরে রয়েছেন তিনি।
পরে জানা গিয়েছে, মিলি একেবারেই মার্তিনেসকে অনুকরণ করেননি। বরং আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকই তাঁকে অনুসরণ করে থাকতে পারেন। যে ছবি ঘিরে মিলির সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটি চার বছর আগের। আমেরিকার গায়িকা নিজের বিয়েতে ফুলের তোড়া নিয়ে ঠিক মার্তিনেসের মতো ভঙ্গি করেছিলেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে একই রকম ভঙ্গি করে মার্তিনেস আলোচনায় উঠে এসেছেন বলেই কি চার বছরের পুরনো ছবি মিলি আবার দিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তাঁর বিয়ে হয় অস্ট্রেলীয় অভিনেতা লিয়াম হেমসওর্থের সঙ্গে। মিলি এবং লিয়ামের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে ২০২০ সালে। তবু বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে মার্টিনেসের ভঙ্গি ঘিরে আলোচনায় উঠে এসেছে মিলি এবং লিয়ামের বিয়ের প্রসঙ্গ। অনেকে বলছেন মার্তিনেস হয়তো মিলির ভক্ত। বিশ্বকাপ জেতার পর আমেরিকার শিল্পীকে বার্তা দিতে চেয়েছেন মেসির আদরের দিবু। বিশ্বকাপের মঞ্চে বিতর্কিত আচরণের জন্য এখনও সমালোচনা চলছে মার্তিনেসের। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ফুটবলার প্যাট্রিক ভিয়েরা বলেছেন, ‘‘বোকার মতো আচরণ।’’ প্রাক্তন ফুটবলারদের অনেকে তাঁর ওই আচরণকে অসভ্যতা বলে সমালোচনা করেছেন। ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থাও বিশ্বকাপের পর মার্তিনেসের আচরণের প্রতিবাদ করে চিঠি দেয় আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে।
আমেরিকার গায়িকা মিলির এই ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: টুইটার।
মার্তিনেস অনেক সময়ই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। জড়িয়ে পড়েন ছোট-বড় বিতর্কে। অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি বলেছেন, ‘‘মানুষ খুব বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় কঠিন হয়। উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে কথা বলব মার্তিনেসের সঙ্গে।’’ বিশ্বকাপের মঞ্চে বিতর্কিত আচরণ নিয়ে মার্তিনেস বলেছিলেন, ফ্রান্সের ফুটবলাররা তাঁকে নানা কুকথা বলেন ফাইনালের সময়। তাঁদের জবাব দিতে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার নিয়ে ওই ভঙ্গি করেছিলেন।