নেমার। —ফাইল চিত্র।
কোপা আমেরিকায় শুরুটা ভাল হল না ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচেই কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ড্র করল তারা। আর দর্শকাসনে বসে ব্রাজিলের ছন্নছাড়া ফুটবল দেখে মুখ ঢাকলেন নেমার। চোটের কারণে তিনি খেলতে পারছেন না। কিন্তু তাঁর দল শুরুতেই এমন ফুটবল খেলবে তা ভাবতে পারেননি ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
গত কয়েক বছর ধরেই ব্রাজিলের খেলার ধরন বদলেছে। সেই সঙ্গে সাফল্যও কমেছে। লাতিন আমেরিকার এই দেশ শেষ বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০০২ সালে। তার পর একের পর এক বিশ্বকাপ এসেছে আর একরাশ হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ব্রাজিলের সমর্থকেরা। মঙ্গলবারও সেই ছবি দেখা গেল। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ড্র করে কোস্টারিকার সমর্থকেরা রীতিমতো উল্লাস করলেন। উল্টো দিকে ব্রাজিলের সমর্থকদের মুখ দেখলে মনে হবে দল হেরে গিয়েছে।
ব্রাজিল সুযোগ পেয়েছিল। ৩০ মিনিটের মাথায় কোস্টারিকার জালে বলও জড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের মারকুইনেস। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি। ভারের সাহায্য নিয়ে গোল বাতিল করা হয়। প্রথমার্ধে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। রদ্রিগো গোল করার সুযোগ পেলেও ক্রসবারে মারেন। ফলে গোল আসেনি।
গোটা ম্যাচে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের ফুটবলারদের পায়ে। গোলমুখী শটও তাঁরা বেশি নিয়েছেন। দীর্ঘ সময় খেলা হয়েছে কোস্টারিকার অর্ধেই। কিন্তু গোল করতে পারেননি ভিনিসিয়াসেরা। কখনও মেরেছেন ক্রসবারে, কখনও বল বাঁচিয়েছেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক। কিন্তু গোলের সামনে গিয়ে বার বার খেই হারিয়ে ফেললেন ভিনিরা। তাঁরা বক্সের সামনে থেকে ব্যাকপাস করলেন, স্কোয়ারপাস করলেন, যা কোস্টারিকার রক্ষণভাগকে গুছিয়ে নেওয়ার সময় দিল। আর যখন গোলমুখী শট নিলেন, তখন তা লাগল প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের পায়ে।
প্রশংসা করতে হবে কোস্টারিকার। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা সময় বল ছিল তাদের অর্ধে। কিন্তু গোল হজম করতে হয়নি। ব্রাজিলের প্রতিভাবান ফুটবলারদের বিরুদ্ধে রক্ষণ জমাট রেখেছিল কোস্টারিকা।
ব্রাজিলের পরের ম্যাচ প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে। ২৯ জুন হবে সেই ম্যাচ। গ্রুপের শেষ ম্যাচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ হবে ৩ জুলাই।