গোল করার পরে উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভার। ছবি: এক্স।
ইস্টবেঙ্গল- ৩ (ক্লেটন সিলভা ২, সউল ক্রেসপো ১)
হায়দরাবাদ- ২ (রামলুনচুঙ্গা, নিম দোরজে)
জয় দিয়ে সুপার কাপ শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসিকে ৩-২ গোলে হারাল তারা। গোটা ম্যাচে দাপট দেখাল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে তিন বার এগোল তারা। লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল করলেন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। একটি গোল সউল ক্রেসপোর। শুধু জয় নয়, দাপট দেখিয়ে প্রথম ম্যাচ জিতল তারা।
মরসুমের শুরুর ইস্টবেঙ্গল আর এই ইস্টবেঙ্গলে যে কতটা তফাত তা বোঝা গেল খেলার শুরু থেকেই। ক্লেটন, নন্দকুমাররা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারের শট পোস্টে লেগে ফেরে। নইলে প্রথমেই এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। দু’মিনিট পরে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি ক্লেটন।
৩৩ মিনিটের মাথায় সেই ক্লেটনের গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। রাকিপের ক্রসে শরীর ছুড়ে ডান পায়ের টোকায় গোল করেন ক্লেটন। গোল খাওয়ার পরে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে হায়দরাবাদ। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। বিরতির ঠিক আগেই সমতা ফেরান রামলুনচুঙ্গা। লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ৫৩ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে লাল-হলুদকে আবার এগিয়ে দেন অধিনায়ক ক্লেটন। আইএসএলেও এই রকম ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন তিনি। ম্যাচে দ্বিতীয় বার এগোয় ইস্টবেঙ্গল।
তবে হায়দরাবাদও লড়াই ছাড়েনি। দলের প্রধান কয়েক জন বিদেশিকে ছাড়াও গোল করার মরিয়া চেষ্টা করছিল তারা। ফলও মেলে। ৭৭ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ বক্সে চুঙ্গামারকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় হায়দরাবাদ। গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের বাঁ দিকে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন নিম দোরজে।
লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে আবার আশঙ্কা শুরু হয়। আবার কি ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাঁদের। কিন্তু এই ম্য়াচে ইস্টবেঙ্গল দেখাল, দলগত খেলা কাকে বলে। এক বারের জন্যও চাপে পড়েনি দল। তার ফলেই পরের মিনিটেই আবার এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বোরহা হেরেরার কর্নার থেকে জোরালো হেডে গোল করেন সউল ক্রেসপো। আর এক বার পরাজিত হতে হয় হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনিকে।
তৃতীয় বার আর ফিরতে পারেনি হায়দরাবাদ। আইএসএলের শুরুটা ছন্দে করতে না পারলেও সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই লাল-হলুদ ফুটবলাররা যে খেলাটা দেখালেন তাতে আশায় বুক বাঁধতে পারেন সমর্থকরা। সুপার কাপ থেকে যে তারা খালি হাতে ফেরার জন্য আসেনি তা বুঝিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।