—প্রতীকী চিত্র।
গতবার ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল অপ্রতিরোধ্য ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ষোলো পর্বের প্রথম সাক্ষাতে আতলেতিকো দে মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারানোর পরে ইন্টার মিলান ম্যানেজার সিমোন ইনজ়াঘি জানিয়ে দিলেন, গতবার যে লক্ষ্যে অল্পের জন্য তাঁর দল পৌঁছতে পারেনি, এ বার সেই ট্রফি জয়ই হবে একমাত্র মন্ত্র।
মঙ্গলবার ৭৯ মিনিটে ইন্টারের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামা মার্কো আর্নাতোভিচ। ৩৪ বছরের ফরোয়ার্ড গত মরসুমে হতাশাজনক ফুটবল খেলার পরে চলে গিয়েছিলেন রিজ়ার্ভ বেঞ্চে। মঙ্গলবার তাঁকে নতুন জীবন দিলেন ইনজ়াঘি। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘ওর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। হয়তো গত মরসুমে ও প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেনি সমর্থকদের, তবে এমন হতেই পারে। ওর থেকে আমরা পরবর্তী সময় আরও এমন গোল চাই। আমার বিশ্বাস, ও পারবে।’’
কোচের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আর্নাতোভিচ। তিনি বলেন, ‘‘আমিও মনে করি, গত মরসুমে যে বিশ্রী ফুটবল খেলেছি, তার ফলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করা খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল। এই গোলটা আত্মবিশ্বাস ফের বাড়িয়ে দিল।’’
তবে প্রথম পর্বে হারলেও হতাশ হচ্ছেন না আতলেতিকো ম্যানেজার দিয়েগো সিমিয়োনে। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচে গোল করার খুব বেশি সুযোগ আমার দলের কাছে আসেনি। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গোল পাইনি। তবে নিজেদের ঘরের মাঠে ফিরতি ম্যাচটা খেলব। আশা করি, সেখানে ছবিটা পাল্টে দিতে পারব।’’ তবে হারের রাতে আতলেতিকো শিবিরে উদ্বেগ বাড়িয়েছে আঁতোয়ান গ্রিজ়ম্যান। তাঁর পায়ের পেশিতে চোট লেগেছে। তা নিয়ে সিমিয়োনে বলেছেন, ‘‘মনে হয় না, গ্রিজম্যানের চোট খুব বড় ধরনের। বিশ্রাম নিলে মাঠে নামতে সমস্যা হবে না। ফিরতি সাক্ষাতে ওকে খুবই দরকার রয়েছে দলের।’’
এ দিকে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পিএসভি আইন্দহোভেনকে হারের হাত থেকে বাঁচালেন লুক দে ইয়ং। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নেদারল্যন্ডস তারকা ম্যাচে সমতা ফেরান। এর আগে ২৪ মিনিটে ডোনিয়েল মালেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড।