ভরসা: গোয়ায় ডার্বির প্রস্তুতিতে মগ্ন চিমা। ছবি এসসি-ইস্টবেঙ্গল।
শনিবারের ডার্বিতে এটিকে-মোহনবাগানের রণকৌশল কী হতে পারে? কী ভাবে খেললে রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোসরা আটকে যাবেন? গত কয়েক দিন ধরেই এই রহস্যের সমাধানসূত্র খুঁজে চলেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস।
আইএসএলের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া করার পরে ময়নাতদন্তে একাধিক ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ। মাঝমাঠের দখল নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিকাশ জাইরুরা। এর ফলে রক্ষণে বাড়তি চাপ পড়েছিল। জামশেদপুর এফসির ফুটবলারদের সঙ্গে গতি ও শারীরিক লড়াইয়েও পিছিয়ে ছিলেন সৌরভ দাসরা।
শনিবারের দ্বৈরথ আরও কঠিন। কৃষ্ণ, মনবীর সিংহ ও লিস্টন কোলাসো প্রচণ্ড গতিতে বল নিয়ে রক্ষণ ভেঙে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। বুমোসের গতি তুলনায় কম হলেও বল পায়ে পড়লেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। বিপক্ষের আক্রমণ ভাগের চার তারকাকে আটকানোর জন্য লাল-হলুদ ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে থাকা যে অত্যন্ত জরুরি, তা খুব ভাল করেই জানেন ম্যানুয়েল। বৃহস্পতিবার সকালের অনুশীলনে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের উপরেই বেশি জোর দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অব্যাহত ছিল রক্ষণ মজবুত করার প্রক্রিয়া। বিকেলে অনুশীলন চলল টিম হোটেলের জিমে।
চোট থাকায় রাইটব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে খেলেছিলেন মিডফিল্ডার মহম্মদ রফিক। জামশেদপুরের ফুটবলাররা আক্রমণের জন্য এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডান দিকটাই মূলত বেছে নিয়েছিলেন। ডার্বির আগে লাল-হলুদ শিবিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে অঙ্কিতকে সুস্থ করে তোলার কাজ। জানা গিয়েছে, অঘটন না ঘটলে বঙ্গ ডিফেন্ডারের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
বৃহস্পতিবার সকালে সেট-পিস অনুশীলনেও জোর দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। প্রধান স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমাকে আগের ম্যাচে খেলতেই দেননি জামশেদপুরের ডিফেন্ডাররা। ফলে একা হয়ে যাচ্ছিলেন আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ। সবুজ-মেরুনের রক্ষণ আরও শক্তিশালী। তার উপরে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের মস্তিষ্ক। তাই গোলের জন্য সেট-পিসের উপরেই ভরসা করছেন লাল-হলুদ কোচ। আগের ম্যাচে ছ’গজ বক্সে জটলার মধ্যে বিপক্ষের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে বল মাটিতে পড়তেই অসাধারণ ব্যাকভলিতে জালে জড়িয়ে দেন ফ্রানিয়ো পর্চে। আবার গোলও খেয়েছিল সেট-পিস থেকে। এ দিন সকালের অনুশীলনে গোল করার পাশাপাশি গোল আটকানোর মহড়াও দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। সব শেষে তিনি দেখে নিয়েছেন ভুলত্রুটি কতটা শুধরে নিতে সফল হয়েছেন চিমারা।