এফএ কাপ ট্রফি নিয়ে উল্লাস ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।
গত বারের এফএ কাপ ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে হারতে হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। সেই হারের বদলা নিল তারা। শনিবার ওয়েম্বলিতে সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ জিতল ইউনাইটেড। এই জয়ের ফলে ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল তারা।
কয়েক দিন আগেই টানা চতুর্থ বার প্রিমিয়ার লিগে জিতেছে ম্যান সিটি। ইউনাইটেড শেষ করেছে আট নম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তাই এফএ কাপ ফাইনালে সবাই সিটিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ওয়েম্বলিতে স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের সামনে ভাল ফুটবল খেললেন ম্যান ইউ-র ফুটবলারেরা। সবাইকে চমকে দিয়ে ২-১ গোলে সিটিকে হারালেন তাঁরা।
ম্যাচের পরিসংখ্যান সিটির দিকে। ৭৩ শতাংশ বলের দখল ছিল কেভিন দ্য ব্রুইন, ফিল ফডেন, আর্লিং হালান্ডদের পায়ে। ম্যান ইউ-র গোল লক্ষ্য করে মোট ১৯টি শট মেরেছেন তাঁরা। অন্য দিকে ম্যান ইউ-র ফুটবলারেরা মেরেছেন ১১টি শট। পাসের সংখ্যাতেও সিটি প্রতিপক্ষের তিন গুণ। কিন্তু গোলের মুখ বেশি খুলতে পেরেছেন এরিক টেন হ্যাগের ছেলেরা। সেই কারণেই জিতেছেন তাঁরা।
প্রথমার্ধেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় ম্যান ইউ। ৩০ মিনিটে প্রথম গোল করেন আলেজান্দ্রো গারনাচো। আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার দলে জায়গা পেয়েছেন এই তরুণ। এই গোলের মাধ্যমে লিয়োনেল মেসিদের কোচ লিয়োনেল স্কালোনিকেও বার্তা দিলেন তিনি। প্রথম গোলের ধাক্কা কাটাতে না কাটাতে ৩৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান কবি মাইনু। মার্কাস র্যাশফোর্ডের গোল অফসাইডে বাতিল না হলে সমস্যা আরও বাড়ত সিটির। ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল ম্যাঞ্চেস্টার।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার অনেক চেষ্টা করেন সিটি। বেশির ভাগ খেলা হয় ম্যান ইউ-র অর্ধে। একের পর এক ক্রস ভেসে আসতে থাকে বক্সে। কিন্তু ভারানে, ওয়ান-বিশাকা, লাউতারো মার্তিনেসদের রক্ষণ সজাগ ছিল। ৮৭ মিনিটে জেরেমি ডোকুর ডান পায়ের শট বাঁচাতে পারেননি ওনানা। এই গোলের পরে ম্যান সিটির দর্শকদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু ৭ মিনিটের সংয়ুক্তি সময়েও আর গোল করতে পারেনি সিটি। ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।