ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ০ স্পোর্টিং লিসবন ০
(দুই পর্ব মিলিয়ে ম্যান সিটি ৫-০ জয়ী)
পেপ গুয়ার্দিওলার জমানায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি একটি ট্রফিই পায়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। গতবার ফাইনালে শেষরক্ষা হয়নি চেলসির কাছে ০-১ গোলে হারায়। চলতি মরসুমে ম্যান সিটি অবশ্য ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় প্রত্যাশিত ভাবেই এগোচ্ছে। ঘরের মাঠে স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে ০-০ ড্র করেও বুধবার শেষ আটে পৌছে গেল তারা। কারণ, তিন সপ্তাহ আগে লিসবনে প্রথম পর্বে ৫-০ গোলে জিতেছিল ম্যান সিটি।
প্রথম পর্বের দ্বৈরথে পাঁচ গোল হজম করার অভিজ্ঞতা থেকেই পর্তুগালের দল রক্ষণাত্মক রণকৌশল নেয়। এর মধ্যেও সেরা সুযোগ নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং। বিপক্ষের গোলরক্ষক আন্তোনিয়ো আদানকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করলেও তা ভিডিয়ো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ, অফসাইডে ছিলেন তিনি। গোল না হলেও ম্যান সিটি ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছে। গুয়ার্দিওলা এতটাই নিরুদ্বেগে ছিলেন, খেলা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে এদেরসনের জায়গায় নামিয়ে দেন তৃতীয় গোলরক্ষক ৩৬ বছরের স্কট কার্সনকে।
ঘটনাচক্রে এই মরসুমে এটাই ছিল কার্সনের প্রথম ম্যাচ। নেমেই তিনি পাউলিনোর দারুণ একটা শট আটকে দেন। টানা পাঁচ বার ম্যান সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ আটে উঠল। হালফিলে প্রিমিয়ার লিগের কোনও ক্লাবেরই যে নজির নেই।
ম্যাচের পরে পেপ বলেছেন, ‘‘এ বারও শেষ আটে দল খেলবে ভেবে সত্যিই দারুণ আনন্দ হচ্ছে। লিসবনের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই আমরা অনেক বেশি ভাল খেলেছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ট্রফি অধরা থাকলেও বেশ কয়েক বছর টানা কিন্তু আমরা এই প্রতিযোগিতায় ভাল খেলছি। এ বারও ইউরোপের সেরা আটটা দলের মধ্যে জায়গা করে নিল ছেলেরা। কাজটা এতটাই কঠিন ছিল যে এখন সত্যিই উৎসব করার সময়।’’