নুনেজ়ের সঙ্গে গুয়ার্দিওলার (ডান দিকে) ঝামেলার সেই মুহূর্ত। ছবি: টুইটার।
পিছিয়ে পড়েও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল লিভারপুল। শনিবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে দু’দলের খেলা শেষ হল ১-১ অমীমাংসিত অবস্থায়। তবে ম্যাচের শেষে লিভারপুলের ফুটবলার ডারউইন নুনেজ় এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার ঝামেলা শিরোনামে চলে এল। ঝামেলা বেড়ে যাওয়ার আগেই মধ্যস্থতা করতে হল লিভারপুলের কোচ য়ুরগেন ক্লপকে।
লিভারপুল এবং সিটির খেলা থাকলে অতীতেও অনেক বার ঝামেলা হয়েছে। গুয়ার্দিওলা এবং ক্লপ দু’জনেই আবেগপ্রবণ। সাইডলাইনের ধারে অনবরত চেঁচিয়ে নিজেদের দলকে উজ্জীবিত করতে থাকেন। মাঝেমাঝে মাত্রাও ছাড়ায়। দুই কোচের মধ্যেও অতীতে ঝামেলা হয়েছে। এ বার বিপক্ষ ফুটবলারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন সিটির কোচ। প্রসঙ্গত, এই নুনেজ়ের বাবা-মাকেই কিছু দিন আগে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতিরা। দু’জনেই ছাড়া পেয়েছেন। নুনেজ়ের বাবা এ দিন স্টেডিয়ামেও হাজির ছিলেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজার পরে ক্লপের সঙ্গে হাত মেলান গুয়ার্দিওলা। তার পরেই স্প্যানিশ কোচ এগিয়ে যান নুনেজ়ের দিকে। ক্লপ তখনও বেশি দূর এগোননি। দু’জনের বাক্যবিনিময় হতে দেখেই তিনি এগিয়ে গিয়ে নুনেজ়কে সেখান থেকে সরিয়ে আনেন। গুয়ার্দিওলা তাতেও থামেননি। তিনি এগিয়ে এসে নুনেজ়কে কিছু বলতে থাকেন। পাল্টা নুনেজ়ও কিছু কথা বলেন। এর পর গুয়ার্দিওলাকে সরিয়ে নিয়ে যান লিভারপুলের সাপোর্ট স্টাফরা। পরে সেই স্টাফেদের সঙ্গেও একপ্রস্থ তর্কাতর্কি হয় গুয়ার্দিওলার।
এ দিন দু’দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এই মুহূর্তে দুই দল ইপিএলের প্রথম দুই স্থানে। লিভারপুল শনিবার জিতলে ইপিএলের শীর্ষে চলে যেত। সিটি জিতলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে ফেলতে পারত। কিন্তু ড্র হওয়ার শীর্ষস্থানে থেকে গেল সিটিই। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৯। সমসংখ্যক ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ২৮।
শনিবার প্রথমার্ধে সিটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আর্লিং হালান্ড। ইপিএলে দ্রুততম ফুটবলার হিসাবে ৫০ গোল হল তাঁর। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। দু’দলই আর কোনও গোল করতে পারেনি।