প্রতিটা মিনিট বল দখলের লড়াই। নিখুঁত পাসের বিচারে লিভারপুল যদি ৮৪ শতাংশ হয় তা হলে চেলসিও ৮২ শতাংশ নিখুঁত পাস করেছে। আক্রমণ, প্রতিআক্রমণ, দুরন্ত সেভ, বল ক্রসবার ও পোস্টে লাগা, সব হল এফএ কাপের ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা।
চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: টুইটার
কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছিল না। প্রতিটা মিনিট বল দখলের লড়াই। একটি পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। নিখুঁত পাসের বিচারে লিভারপুল যদি ৮৪ শতাংশ হয় তা হলে চেলসিও ৮২ শতাংশ নিখুঁত পাস করেছে। আক্রমণ, প্রতিআক্রমণ, দুরন্ত সেভ, বল ক্রসবার ও পোস্টে লাগা, সব হল এফএ কাপের ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা। সেখানেও সপ্তম শট পর্যন্ত গড়াল। শেষ পর্যন্ত ৬-৫ (০-০) গোলের ব্যবধানে চেলসিকে হারিয়ে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন হল লিভারপুল।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখাচ্ছিল লিভারপুল। কিছুটা চাপে ছিল চেলসির রক্ষণ। বার বার আক্রমণে উঠেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের ছেলেরা। কিন্তু ৩৩ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মহম্মদ সালাহ্। ফলে কিছুটা হলেও আক্রমণের গতি কমে রেড ডেভিলসদের। খেলায় ফেরে চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় চেলসি। ৪৮ মিনিটের মাথায় অলন্সোর শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন অ্যালিসন বেকার। ৮৩ ও ৮৪ মিনিটের মাথায় পর পর লিভারপুলের দিয়াজ ও রবার্টসনের শট পোস্টে লেগে ফেরে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ০-০ ব্যবধানে শেষ হলে অতিরিক্ত সময় হয়। সেখানেও গোল আসেনি। ফলে টাইব্রেকারে ম্যাচের ফয়সালা হয়।
টাইব্রেকারে চেলসির হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে গিয়ে অ্যাজপিলিকুয়েটা পোস্টে মারেন। ফলে পিছিয়ে পরে চেলসি। পঞ্চম শটে ম্যাচ জিততে পারত লিভারপুল। কিন্তু সাদিও মানের শট বাঁচিয়ে নেন চেলসির গোলরক্ষক মেন্ডি। ফলে টাইব্রেকার চলতে থাকে। চেলসির মেসন মাউন্টের শট আটকে দেন বেকার। পরের শটে গোল করেন সিমিকাস। ম্যাচ জিতে যায় লিভারপুল।