মাঠে একসঙ্গে খেলা থেকে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়। কিছু ফুটবলারদের সেই বোঝাপড়া এতটাই বেড়ে যায় যে অপরের সঙ্গীকেও পছন্দ হয়ে যায় অনেক সময়। একই মহিলার সঙ্গে একাধিক সতীর্থ ফুটবলারের প্রেম খুব অপরচিত নয়। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ফুটবলার রয়েছেন এই তালিকায়।
মাউরো ইকার্ডি এবং ম্যাক্সি লোপেজ: আর্জেন্টিনার দুই ফুটবলার শুধু সতীর্থ নন, তাঁদের বন্ধুত্বও ছিল বেশ গভীর। দুই পরিবারের একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবিও দেখা যেত নেটমাধ্যমে। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব ভেঙে যায়।
লোপেজের স্ত্রী ওয়ান্ডা নারাকে নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। লোপেজ এবং নারার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। সেই সময় লোপেজ অভিযোগ করেন ইকার্ডির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে নারার। পরবর্তী সময় ইকার্ডি এবং নারা বিয়ে করেন। লোপেজের সন্তানের ছবির ট্যাটু রয়েছে ইকার্ডির হাতে।
থিবো কর্তুয়া এবং কেভিন ডি’ব্রুইন: বেলজিয়ামের হয়ে একসঙ্গে খেলেন দুই ফুটবলার। ডি’ব্রুইনকে বিতর্কে জড়াতে দেখা যায় না খুব একটা। কিন্তু ২০১২ সালে তাঁর নামও জড়িয়ে গিয়েছিল এক বিতর্কে।
ডি’ব্রুইনের সেই সময়ের সঙ্গী ক্যারোলিন লিনেন অভিযোগ আনেন তাঁকে ঠকাচ্ছেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার। সেই জন্য প্রতিশোধ নিতে চান লিনেন। তিনি বলেন, “ডি’ব্রুইন আমাকে ঠকিয়েছে তাই আমি কেন সেটা করব না?” প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কর্তুয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লিনেন।
জেমি ও’হারা, জারমেন ডেফো, টেডি শেরিংহ্যাম এবং মার্কাস বেন্ট: ইংল্যান্ডের এই চার ফুটবলারের সঙ্গেই জড়িয়ে যায় মিস ইংল্যান্ড এবং মিস গ্রেট ব্রিটেন ড্যানিয়েল লয়েডের নাম। ২০০৭ সালে ডেফোর সঙ্গে যখন তাঁর সম্পর্কের কথা সামনে আসে, তার আগেই বেন্ট এবং শেরিংহ্যামের সঙ্গেও ডেট করেন লয়েড।
সেই সম্পর্কগুলির একটিও টেকেনি। ২০১২ সালে ও’হারাকে বিয়ে করেন লয়েড। দু’বছর পর সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
জন টেরি এবং ওয়েন ব্রিজ: চেলসিতে একসঙ্গে ছ’বছর খেলেছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় টেরিকে। অভিযোগ ওঠে ব্রিজের স্ত্রী ভানেসা পেরোনসেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। পেরোনসেল যদিও সে কথা স্বীকার করেননি।
টেরি এবং ব্রিজ দুই জনের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। একসঙ্গে ঘুরতেও যেতেন তাঁরা। এই ঘটনা জানার পর ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বনাম চেলসি ম্যাচে দেখা যায় টেরির সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন ব্রিজ।
সের্খিয়ো আগুয়েরো এবং রিয়াদ মাহরেজ: ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে খেলার সময় বন্ধুত্ব দেখা যায় এই দুই ফুটবলারের মধ্যে। ২০১৯ সালে আগুয়েরোর সঙ্গে নাম জড়ায় টেলর ওয়ার্ডের। সেই মাহরেজ ছিলেন বিবাহিত।
পরের বছরেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় মাহরেজের। তার পরেই ওয়ার্ডের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। ইনস্টাগ্রামে নিজেদের সম্পর্কের কথা জানান তাঁরা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং সের্খিয়ো র্যামোস: ২০০৭ সালে মডেল নেরেইডো গ্যালারডোর সঙ্গে একটি নাইটক্লাবে দেখা হয় র্যামোসের। তৈরি হয় সম্পর্ক।
পরের বছর গ্যালারডোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রোনাল্ডো। কয়েক মাসের মধ্যেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনাল্ডো এবং র্যামোসকে একসঙ্গে খেলতেও দেখা যায়।