রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা দিতে হলে বিরাট কোহলি, শুভমন গিলদের মতোই অনায়াসে উতরে যাবেন লিয়োনেল মেসির দেহরক্ষী। তাঁর দৌড়ের গতি দেখে চমকে গিয়েছেন ইন্টার মায়ামির সমর্থকেরা।
আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে গিয়েছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলে তিনি এখন ব্যস্ত ইন্টার মায়ামির হয়ে মেজর লিগ সকার খেলতে। প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচে গ্যালারি থেকে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক মেসিপ্রেমী। দৌড়ে মেসির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মেসির কাছে পৌঁছলেও ধরা পড়ে যান সেই ভক্ত। কারণ তত ক্ষণে দৌড়ে মেসির কাছে পৌঁছে যান তাঁর দেহরক্ষী। তিনি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন সেই মেসি ভক্তকে। সরিয়ে নিয়ে যান দূরে। ওই সমর্থককে ধরতে দুই নিরাপত্তা কর্মীও মাঠে ঢুকে ছিলেন। কিন্তু তাঁরা পৌঁছানোর আগেই মেসির কাছে চলে যান তাঁর দেহরক্ষী। মেসির দেহরক্ষীর দৌড়ের গতি চমকে দিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁর সেই দৌড়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। অনেকে মজা করে লিখেছেন, দৌড়ের প্রতিযোগিতায় মেসি তাঁর দেহরক্ষীর কাছে হেরে যাবেন।
মেসির নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী নিয়োগ করেছেন ডেভিড বেকহ্যাম। তিনি সব সময় মেসির সঙ্গে থাকেন। খেলা চলার সময়ই মাঠের ধারে থাকেন। সব সময় মেসির সমান্তরাল অবস্থান বজায় রাখেন। অর্থাৎ, ম্যাচের পুরো সময় মেসিকে অনুসরণ করে সাইড লাইনের ধারে দৌড়তে থাকেন। ঠিক যেমন লাইন্স ম্যানেরা বল অনুসরণ করে দৌড়ান। প্রয়োজন হলে যাতে দ্রুত মেসির কাছে পৌঁছতে পারার জন্যই যতটা সম্ভব কম দূরত্বে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর নাম ইয়াসিন চেউকো। আমেরিকার বিখ্যাত নেভি সিলের প্রাক্তন সদ্য তিনি। চেউকো মিক্সড মার্শাল আর্টে দক্ষ। দীর্ঘ দেহী, সুঠাম চেহারার চেউকো একাই চার পাঁচ জনকে ঘায়েল করার ক্ষমতা রাখেন।
এই মরসুমে চেনা ফর্মে রয়েছেন মেসি। ইন্টার মায়ামির হয়ে ১১টি গোল করেছেন। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও পাঁচটি গোল। তাঁকে ঘিরে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে আমেরিকার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। অনেকেই তাঁর কাছে যেতে চাইছেন ছবি তোলার জন্য বা সই নেওয়ার জন্য। কেউ কেউ চান এক বার শুধু ছুঁয়ে দেখতে। সমর্থকদের ভালবাসার অত্যাচার থেকে মেসিকে বাঁচাতেই দেহরক্ষী নিয়োগ করেছেন ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ।