গোলের পর মেসির উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
আবার লিয়োনেল মেসির গোল। আবার ইন্টার মায়ামির জয়। গত কয়েক দিনে এই ঘটনা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবারের ম্যাচেও তাই দেখা গেল। টানা পাঁচটি ম্যাচে গোল করলেন মেসি। লিগস কাপে শার্লট এফসি-কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল মায়ামি। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করেন মেসি। তত ক্ষণে অবশ্য মায়ামির জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে তারা। শেষ চারে মেক্সিকোর কুয়েরেতারো বনাম ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
মায়ামির হয়ে যতগুলি ম্যাচে নেমেছেন, সবক’টিতেই গোল করেছেন মেসি। সব ম্যাচেই জিতেছে তাঁর দল। শার্লটের বিরুদ্ধে অবশ্য মেসিকে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে গোল পাওয়ার জন্যে। মেসিকে দেখার জন্যে মায়ামির স্টেডিয়াম ভর্তি ছিল। একই দিনে সেই শহরের বেসবল এবং বাস্কেটবল দল খেলতে নামলেও ফুটবল নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। আমেরিকার দুই জনপ্রিয় খেলার সঙ্গে যে ফুটবলও টক্কর দেওয়া শুরু করেছে, এটা বোঝা গিয়েছে ভাল ভাবেই।
মেসি আসার আগে এমএলএসে ২২টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতেছিল মায়ামি। মেসি আসার পর লিগস কাপে সব ম্যাচে জিতেছে। ট্রফি জেতা থেকে আর মাত্র দু’ম্যাচ দূরে তারা। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় প্রথম ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ছ’গজ দূর থেকে তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন শার্লটের গোলকিপার ক্রিশ্চিয়ান কাহলিনা। ৬৯ মিনিটে মেসি দ্বিতীয় সুযোগ পান। রবার্ট টেলরের সঙ্গে পাস খেলার পর সামনে ফাঁকা গোল পেয়ে গিয়েছিলেন। মেসির শট শেষ মুহূর্তে এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১২ মিনিটে জোসেফ মার্তিনেসের পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গিয়েছিল মায়ামি। ৩২ মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। দিয়ান্দ্রে ইয়াদলিনের সঙ্গে পাস খেলে গোল করেন টেলর। দ্বিতীয়ার্ধে তৃতীয় গোল আত্মঘাতী। শার্লটের আদিলসন মালান্দা নিজের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। খেলা শেষের চার মিনিট আগে গোল করেন মেসি।
ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো বলেছেন, “মেসির থেকে লোকে গোলের প্রত্যাশা করে। ও সেটাই করছে। এতেই বোঝা যায় মেসি একটা লক্ষ্য নিয়ে এখানে খেলতে এসেছে।” বিপক্ষের কোচ ক্রিশ্চিয়ান লাতাজ্জিয়ো বলেছেন, “মেসির মতো ফুটবলারের কাছে গোল করার জন্যে এক সেকেন্ড, একটা সুযোগই যথেষ্ট।”