বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যদের বিশেষ উপহার দিচ্ছেন মেসি। ছবি: টুইটার।
বার বার চেষ্টা করেও হয়নি। শেষ পর্যন্ত কাতারে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে লিয়োনেল মেসির। আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফদের। যাঁদের জন্য স্বপ্নপূরণ হয়েছে, সেই অ্যাঙ্খেল ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্তিনেসদের বিশেষ উপহার দিতে চান আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী, উপহার কেনার জন্য প্রায় ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা খরচ করছেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সব ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ৩৫টি আইফোন কিনছেন মেসি। ২৪ ক্যারাট সোনায় তৈরি ফোনগুলিতে রয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের লোগো। এ ছাড়াও প্রতিটি ফোনে লেখা রয়েছে দলের এক এক জন সদস্যের নাম। ফুটবলারদের ফোনগুলিতে রয়েছে তাঁদের জার্সি নম্বরও। প্রতিটি ফোনের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই দলের সকলকে উপহার দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন মেসি। সেই মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের জন্য বিশেষ আইফোন তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবেন তিনি। আইফোনগুলি পৌঁছে গিয়েছে মেসির কাছে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের যে সদস্যরা প্যারিসে থাকেন, তাঁদের গত শনিবার নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন মেসি। তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন সোনার আইফোন। বাকি সদস্যদের কাছেও উপহার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
মেসির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জেতার পর দলের সব সদস্যকে বিশেষ কিছু উপহার দেওয়ার কথা ভেবেছিল মেসি। এমন কিছু দিতে চেয়েছিল, যা দেখলেই মনে পড়বে গর্বের মুহূর্ত। উদ্যোগপতি বেন লিয়নসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। দু’জনে মিলে তৈরি করেছে বিশেষ সোনার আইফোনের নকশা।’’ লিয়নসের সংস্থা আইডিজাইন গোল্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘মেসি শুধু বিশ্বের সেরা ফুটবলারই নন, আইডিজ়াইন গোল্ডের অত্যন্ত মূল্যবান গ্রাহকও। বিশেষ নকশার ফোনগুলি তৈরির জন্য গত দু’মাস আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। দলের সব ফুটবলার এবং অন্য সদস্যদের জন্য বিশেষ ভাবে এই আইফোনগুলি তৈরি করার অনুরোধ করেছিলেন।’’
মেসি চেয়েছিলেন, এমন কিছু উপহার দিতে যাতে লেখা থাকবে সোনালি সাফল্যের কথা। আইডিজ়াইন গোল্ডের কর্ণধার লিয়নস বলেছেন, ‘‘আমি মেসিকে এই সোনার আইফোনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এই ভাবনাটা মেসিকে খুব খুশি করেছিল।’’ লিয়নস অবশ্য প্রথমে সোনার ঘড়ি উপহার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মেসিকে। সেই প্রস্তাব পছন্দ হয়নি তাঁর। উপহার হিসাবে ঘড়ি মেসির অত্যন্ত সাধারণ মনে হয়েছিল।