লিয়োনেল মেসি। ছবি: এক্স (টুইটার)।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না লিয়োনেল মেসি। মাঠেই কেঁদে ফেললেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আপাতত তাঁর লক্ষ্য কোপার খেতাব ধরে রাখা। আর কত দিন দেশের হয়ে খেলবেন, তা-ও জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
চোট সারিয়ে কানাডার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই গোল। দলও জয় পেয়েছে। কোপায় প্রথম থেকেই তাঁর ফর্ম নিয়ে কথা উঠছিল। সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন গোল করে। প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি মেসি। তা হলে কি এটাই মেসির শেষ কোপা আমেরিকা? সরাসরি উত্তর দেননি তিনি। বলেছেন, ‘‘আমি প্রতিটা দিন নিয়ে ভাবি। সুদুর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না। এখন বয়স ৩৭। এই বয়সে আগে থেকে কিছু ঠিক করা কঠিন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি প্রতিযোগিতার মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি। ঠিক যেমন গত বারের কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপ উপভোগ করেছি। কানাডার সঙ্গে ম্যাচটাও বেশ উপভোগ করলাম। এখন আমাদের সামনে ফাইনাল। আরও এক বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরা। তবে লড়াই সহজ হবে না।’’
দলের পারফরম্যান্স নিয়েও খুশি মেসি। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এ বারের কোপা বেশ কঠিন হচ্ছে। কখনও আমাদের খারাপ মাঠে খেলতে হয়েছে। কখনও আবার অতিরিক্ত গরমে নাজেহাল হতে হয়েছে। শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হয়েছে। তবে আমরা সব বাধা অতিক্রম করে ফাইনালে উঠেছি। এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। প্রতিযোগিতার বাকি অংশটাও উপভোগ করতে চাইছি।’’
মেসির বক্তব্য, যত দিন উপভোগ করবেন তত দিন খেলবেন। নিজের ফুটবলজীবনকে সময়ের লক্ষ্ণণরেখায় বাঁধতে চান না। আর খুব বেশি দিন খেলতে পারবেন না, হয়তো বুঝতে পারছেন মেসি নিজেই। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে কমছে ক্ষিপ্রতা। বয়স থাবা বসাতে শুরু করেছে ফুটবল দক্ষতাতেও। তবু যত দিন পারবেন, আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি গায়ে মাঠে নামতে চান।
ঘনিষ্ঠ মহলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বলেছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে শেষ বার চেষ্টা করবেন দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর। তাঁর আগেই ছেড়ে দেবেন নাকি মেসি? মেসি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শরীর সায় দিলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেবেন উপযুক্ত সময়ে। আগাম ঘোষণা করতে চান না।
বুধবার দেশের হয়ে ১০৯টি গোল করে ফেললেন মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা হয়েছেন ইরানের আল দায়িকে টপকে। কোপা আমেরিকায় খেলে ফেললেন নিজের ৩৮তম ম্যাচ। অপেক্ষা আরও একটা খেতাবের। ফুটবলজীবনের শেষ প্রান্তে চলে আসা মেসি হয়তো শেষটা দেখতে পাচ্ছেন।