ক্লাবের জার্সিতে আবার দাগ কাটতে ব্যর্থ লিয়োনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচ হারতে হল পিএসজিকে। —ফাইল চিত্র
ক্লাবের জার্সি গায়ে নজর কাড়তে আবার ব্যর্থ লিয়োনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে। তার জেরে ঘরের মাঠে রেনের কাছে হারতে হল প্যারিস সঁ জরমঁকে। এই মরসুমে এই নিয়ে চার বার হারতে হল প্যারিসের ক্লাবকে। ঘরের মাঠে এই প্রথম হারতে হল মেসিদের। রেনের কাছেই দু’বার হেরেছেন মেসিরা। এই হারের ফলে লিগ শীর্ষে থাকা পিএসজির সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের পয়েন্টের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৭। এখনও ১০টি ম্যাচ বাকি রয়েছে লিগ ওয়ানের। তবে ক্লাবের এই পারফরম্যান্স চিন্তায় ফেলেছে পিএসজি সমর্থকদের।
ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক খেলা উচিত ছিল মেসিদের। কিন্তু সে রকম সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। যে কয়েক বার মেসি গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন প্রত্যেক বার রেনের গোলরক্ষক স্টিভ মান্ডান্ডা তা আটকে দিয়েছেন। এমবাপে অবশ্য এক বার গোলে বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল করেন রেফারি।
বিরতির ঠিক আগে দূরপাল্লার শটে রেনেকে এগিয়ে দেন টোকো একাম্বি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ান কলিমুয়েন্দো। নিজের প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি পিএসজি। শেষ পর্যন্ত ০-২ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
চোটে জর্জরিত পিএসজি শিবির। নেমার এখনও গোড়ালির চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি। চোটের কারণে খেলতে পারেননি আশরফ হাকিমি, কিমপেম্বে, মারকুইনোস, সের্খিয়ো র্যামোস, মুকিয়েলের মতো প্রথম একাদশের ফুটবলাররা। রক্ষণভাগের একাধিক খেলোয়াড় না থাকার খেসারত দিতে হয় মেসিদের। এই মরসুমে পিএসজি যে চারটি ম্যাচ হেরেছে সবগুলিই ২০২৩ সালে। কয়েক দিন আগেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন মেসিরা। কিন্তু সেই ব্যবধান ক্রমশ কমছে।