লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। —ফাইল চিত্র।
সুনীল ছেত্রীর অধিনায়কত্বেই ২০১৫ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল লালিয়ানজ়ুয়ালা ছাংতের। আগামী ৬ জুন যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচেও তিনি থাকবেন। তাই যেন কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ছাংতে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিউ টাউনে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উৎকর্ষ কেন্দ্রে অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে ছাংতে বললেন, ‘‘সুনীল ভাইকে আমরা প্রত্যেকে শ্রদ্ধা করি। ওর কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। ২০১৫ সালে আমি প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পাই। সুনীল ভাই আমাকে যে ভাবে স্বাগত জানিয়েছিল, কখনওই ভুলতে পারব না।’’ যোগ করলেন, ‘‘মাঠে নামার পরে আমাকে একাধিক মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল, খেলা উপভোগ করতে না পারলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আর বলেছিল, খেলার সময় নিজের মনের কথা শুনতে। সবসময় সুনীল ভাইয়ের এই পরামর্শগুলি মাথায় রেখেই খেলতে নামি।’’
সুনীলের শূন্যস্থান কি পূরণ করতে পারবেন? ছাংতের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘সুনীল ভাইয়ের শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে দলের প্রয়োজনে যদি সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলতে হয়, আমি তৈরি। কিন্তু আমার উচ্চতা কম হওয়ায় সমস্যা হতে পারে।’’ এর পরেই যোগ করলেন, ‘‘আমাদের সবসময় একটা দল হিসেবে খেলতে হবে। কুয়েত ম্যাচে আমাদের সামনে ইতিহাস সৃষ্টি করার হাতছানি রয়েছে। এই ব্যাপারটাই সকলকে উদ্বুদ্ধ করছে। এই ম্যাচে জিততে পারলেই সুনীল ভাইকে যথার্থ সম্মান জানানো সম্ভব হবে।’’
কুয়েত ম্যাচের পরে জাতীয় দলে সুনীলকে পাশে না পাওয়া কতটা যন্ত্রণার? ছাংতে বললেন, ‘‘আমাদের সকলেরই মন খারাপ। কারণ কুয়েতের বিরুদ্ধেই সুনীল ভাই জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলবে। ভারতীয় ফুটবলে ওর অবদান কখনও ভোলা যাবে না। সুনীল ভাইয়ের অভাব আমরা সকলেই প্রতি মুহূর্তে
অনুভব করব।’’