কিলিয়ান এমবাপে। ছবি: রয়টার্স।
গত বারের বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেও রানার্স হয়েছিলেন। ট্রফি উঠেছিল লিয়োনেল মেসির হাতে। সেই কিলিয়ান এমবাপে সোমবার নামছেন অধরা ইউরো কাপ জেতার লক্ষ্যে। সামনে অস্ট্রিয়া। তার আগে ফ্রান্সের শিবিরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রাজনীতি নিয়ে। এ দিকে, সোমবার ইউক্রেন নামছে সেনাবাহিনীর বার্তা পেয়ে। তাদের সামনে রোমানিয়া।
ফ্রান্সে ৩০ জুন এবং ৭ জুলাই জাতীয় নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরঁ। সেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে ফুটবল শিবিরেও। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের দুই ফুটবলার মার্কাস থুরাম এবং ওসমানে দেম্বেলে রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাই অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না করতে।
ফ্রান্সের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ফুটবলারই নিজেদের মতামত জানাতে পারেন। সেই অধিকার তাঁদের রয়েছে। দেশের মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানাতে পারেন তাঁরা। কিন্তু ফ্রান্স দলকে যাতে কোনও ভাবে রাজনীতির উপাদান না বানানো হয়, তার জন্যই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
সোমবার জিতলে ফ্রান্সের কোচ হিসাবে ১০০টি ম্যাচ জিতবেন দিদিয়ের দেশঁ। গত ১২ বছর ধরে তিনি দলের কোচ। ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। এক বার জিতেছেন। এ বারের প্রতিযোগিতায় অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন নামছে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিপদের মধ্যেও ফুটবল দলের সমর্থনে বার্তা পাঠিয়েছে তারা। দলের কোচ সার্জি রেব্রভ জানিয়েছেন, ফুটবলার থেকে কোচেরা অনবরত বার্তা পাচ্ছেন সেনাবাহিনীর। দেশের ঐতিহ্য, গর্বকে ফুটবল মাঠে তুলে ধরার আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে।
রেব্রভের কথায়, “সেনাবাহিনী আমাদের নিয়ে গর্বিত। আমরাও ওদের নিয়ে গর্ববোধ করি। ওরা আমাদের বলেছে ইউক্রেনের শক্তি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে। ইউরো সত্যিই আমাদের কাছে নিজেদের সম্মানরক্ষার লড়াই।” রেব্রভের হাতে প্রতিভাবান দল রয়েছে। অন্তত নকআউটে ওঠার আশা করছেন সকলেই। রাশিয়ার আক্রমণের পর প্রথম বার কোনও বড় প্রতিযোগিতায় খেলতে নামছে তারা।
দলের ডিফেন্ডার ইলিয়া জাবারনি বলেছেন, “ইউক্রেনের হয়ে খেলতে পেরে গর্বিত। সবাই জানেন আমরা কোন পরিস্থিতিতে রয়েছি। ফলে আমাদের ঘাড়ে বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে। ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। আমরা জানি মাঠে নেমে কী করতে হবে।”
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া বেলজিয়াম খেলবে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে। বেলজিয়ামের সোনার প্রজন্মের কিছু ফুটবলার এখনও রয়েছেন। তবু ইউরো কাপে তাদের ভরসা বুড়ো ঘোড়া রোমেলু লুকাকুই। যোগ্যতা অর্জন পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন লুকাকু। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।