জল্পনায়: বেনফিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের ফাঁকে এমবাপে। ছবি রয়টার্স।
মঙ্গলবার তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল প্যারিস সঁ জরমঁ। কিন্তু আসেনি কাঙ্ক্ষিত জয়। বেনফিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। এবং তার পরেই শোনা যায়, ক্লাব ছাড়তে পারেন ফরাসি তারকা। যা নিয়ে ক্লাবের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে অস্বস্তি।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? পিএসজির সঙ্গে নতুন তিন বছরের চুক্তিতে সই করতে রাজি হওয়ার বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। সে সব প্রতিশ্রুতি নাকি রক্ষা করেনি ক্লাব। তাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে আগামী জানুয়ারিতে দলবদল করতে চান এমবাপে। ফরাসি ফুটবলের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব জুলিয়েন লরেন্স এমন দাবি করেছেন। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমবাপে কখনও এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
কিন্তু এমবাপের কোন কোন শর্ত মানেনি পিএসজি? লরেন্সের দাবি, ‘‘পিএসজি কথা দিয়েছিল, নতুন কোনও স্ট্রাইকারকে নেবে। তাতে ও নিজের পছন্দের জায়গায় খেলতে পারত। নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা আদায় করেছিল কিলিয়ান। তার জায়গায় চেয়েছিল ভাল একজন সেন্টার-ব্যাক। সে সবের কোনও কথাই না রাখায় ও এখন ক্লাব ছাড়তে বদ্ধপরিকর।’’
কিন্তু মঙ্গলবার ম্যাচের পরে ক্লাবের পরামর্শদাতা লুইস ক্যাম্পোস জানিয়েছেন, তাঁকে কোনও সময়েই ক্লাব ছাড়ার কথা বলেননি ফরাসি তারকা। তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমি তো সব সময় থাকি কিলিয়ানের সঙ্গে। ও একবারের জন্য ক্লাব ছাড়ার কথা আমাকে জানায়নি। জানুয়ারি মাসে ও পিএসজি ছেড়ে দেবে, এটাই আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটা তথ্য।” তিনি আরও বলেছেন, “জোরের সঙ্গে এই খবরকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিচ্ছি। পাঁচ মাস আগে ওর সঙ্গে ক্লাবের নতুন চুক্তি হয়েছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাবার্তায় এমবাপে এই ক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। এই খবরকে খুব গুরুত্ব দিতে পারছি না।”
ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনেও উড়ে আসে এমবাপের ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন। ম্যানেজার ক্রিস্তোফ গাসচিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি কোনও ভিত্তিহীন খবরে কান দেন না। তিনি বলেছেন, “একটা গুজব তৈরি হয় এবং দ্রুত তা থেকে একটা খবর তৈরি করে ফেলে সংবাদমাধ্যম। যদি আমার কাছে জবাব চান, তা হলে বলতে হবে এই বিষয় নিয়ে ওর সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি।”